কুমিল্লা প্রতিনিধি: নিজ জন্মদাতার পিতার সম্পত্তি ভাগ চাওয়াকে কেন্দ্র করে আপন ছোট দুই ভাইয়ের উপর প্রাণনাশের হুমকি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে বাড়ি চারার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আপন বড় ভাই । এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কালিকা পুর ইউনিয়ন আব্দুল্লাহ পুর গ্রামের মৃত বনমালী চন্দ্র পালের ছোট ছেলে সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় বিকাশ চন্দ্র পাল লিটনের সঙ্গে। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় ১৯৯১ সালে বনমালী চন্দ্র পাল অসংখ্য জমি জামা রেখে মৃত্যু বরুণ করে থাকে। কিন্তু তার মৃত্যুর পর থেকে সকল জায়গা জমি ভোগ দখল করে আসছে বিকাশ চন্দ্র পাল লিটনের বড় ভাই হারাধন পাল। এই জমিজমার লোভ লালসা ছোট ভাইদের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি ও বাড়ি চারার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বড় ভাই হারাধন পাল। এই বিষয় বিকাশ চন্দ্র পাল লিটন সাংবাদিকদের বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানায় ১৯৯১ সালে আমার বাবার মৃত্যু হয় তখন আমরা ছোট ছিলাম যার কারনে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিগুলো আমার বড় ভাই হারাধন পাল অনেক সম্পত্তি উনার নামে করে পেলে। এমনকি ভাইদের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে একটি মানুষ মৃত্যু বরুণ করার পর নিয়ে যাওয়া হয় শুষানে। কিন্তু সেই শষানের জায়গায় পর্যন্ত সহ বাড়ি সহ বিভিন্ন স্পষ্ট মিলিয়ে প্রায় ৫২ শতক সম্পত্তি নিজের স্ত্রীর নামে দলিল করে থাকে হারাধন পাল । বিষয়টি আমি জানতে পেরে আমার বড় ভাইকে জায়গা জমির বিষয় জিজ্ঞেস করিলে একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে আমার উপর। এবং কি বাড়ির থেকে বের করার হুমকি দিয়ে থাকে আমার বড় ভাই । পরবর্তিতে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে বিষয়টি তুলে দরি। কিন্তু চেয়ারম্যান মহোদয় অনেকবার সালিশ দরবার করেও করতে পারেনি সমাধান । এতে ক্ষিপ্ত হয় আমার বড় ভাই হারাধন পাল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকাকালীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে, সকল সম্পত্তিগুলো উনার ভোগ দখলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবগত করিলে গত ০৮/০৭/২০২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার আমার বড় ভাই হারাধন পাল, শিল্পী রানী সাহা, শংকর কুমার পাল, রুপালী রানী পাল ও সৌরভ পাল প্রান্ত সহ আর অনেকে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা চালায় । এইসময় আশেপাশের এলাকার লোকজন খবর পেয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে । তাই আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ৫জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়েল করে আসী। অন্যদিকে একই অভিযোগ তুলে ধরেন মৃত্যু বনমালী চন্দ্র পাল ওরুপে সিদ্দা পালের মেজো ছেলে সাবেক ফুটবলার শংকর পাল । তিনি উল্লেখ করে বলেন মৃত্যু বনমালী চন্দ্র পালের ।তিন ছেলে কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যিক সম্পত্তি গুলো ওয়ারিশ সুত্রে তিন ভাইদের মধ্যে সমান ভাগে বুঝিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য পূর্বপুরুষেরা এমন একটি নীতিমালা উল্লেখ করে থাকেন । কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা যখন ছোট ছিলাম । তখন আমাদের বাবা মৃত্যুবরণ করে থাকে । তাই সকল জায়গা সম্পত্তি আমার বড় ভাই হারাধন পাল দেখা শোনা ও ভোগ দখল করে আসিলো। বড় ভাইকে বিশ্বাস করে কোন সম্পত্তির হিসাব চাইনি। কিন্তু বড় ভাই হারাধন পাল জায়গা সম্পত্তির লোভ লালসায় মেতে ওঠে । ভাইকে মেরে হলেও সম্পত্তি লাগবে হারাধন পালের। কিন্তু পুরো সম্পত্তি গুলো উনার লাগবে। তাতেও আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ভাইদের হক বুঝিয়ে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত শ্মশানের জায়গাসহ ভিবিন্ন জায়গা নামে বে নামে। নিজের স্ত্রীর নামে দলিল উল্লেখ করে দিয়ে থাকে । আমার বড় ভাই হারাধন পাল। নিজের স্ত্রীর নামে জমি দিয়ে দেওয়া হারাধন পাল কে আমরা জিজ্ঞেস করিলে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা চালায় বড় ভাই হারাধন পাল । এমনকি বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে থাকে হারাধন পাল । সুত্রে আরও জানাযায় যে ৩ নাম্বার আসামি শংকর কুমার পাল হারাধন পালের ভগ্নিপতি ১৯৯৬ সালে থেকে ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সাবেক এমপি জয়নাল হাজারির ইস্টেয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন । বিভিন্ন সময় অসহায় লোকদের উপর হামলা চালিয়ে লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনগন। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট ক্ষমতা আসার পর ফেনী রামপুর মজুমদার হাট বাজারে অবস্থিত সেবা মেডিকেল নামে একটি ফ্রার্মেসী ছিলো বলে জানাযায় । কিন্তু শংকর পালের ডাক্তারি করার কোন সার্টিফিকেট না থাকায় স্থানীয় জনগন ওইখান থেকে বিতাড়িত করে শংকর পাল কে, পরবর্তীতে মান সম্মানের ভয়ে চৌদ্দগ্রাম এসে শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে জীবনযাপন করে আসছিল । বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর আব্দুল্লাহপুর সিদ্দা পালের বাড়ির বিতর আত্মগোপনে থেকে একটি ওষুধ ফার্মেসি দিয়ে শুরু করে কাজ। এমনকি ওষুধ বিক্রি করতে করতে একপর্যায়ে জিম্মি করে ফেলে অনেক রোগীকে। স্থানীয় জনগণ জানায় শংকর পাল সামান্য একজন ওষুধ বিক্রি করতে দেখেছি আমরা । আর এখন দেখি ডাক্তারি পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা চালাচ্ছে শংকর পাল। শংকর পাল টার্গেট করত প্রবাসীদের ফ্যামিলিকে। যেসব মহিলাদের সন্তানাদি হচ্ছে না ওইসব মহিলাদের কে টার্গেট করতেন শংকর পাল। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততোই শশুর বাড়ির জায়গা সম্পত্তির লালশায় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় বিকাশ চন্দ্র পাল লিটন এর ভাই বোনদের মধ্যে সৃষ্টি করে যাচ্ছে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড । স্থানীয় জনগন ও প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছে।ভূক্ত ভূগির পরিবার।এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে। এক নং বিবাদী গং ক্ষীপ্ত হয়ে। বিভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে.
Leave a Reply