আব্দুর রউফ / স্টাফ কোয়ার্টার ;
নওগার মান্দায় বিভিন্ন নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করা হয়।
এ অভিযান চালিয়ে দুটি নার্সারি থেকে প্রায় চৌদ্দ হাজার ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেল চার টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া।
অভিযানের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সীমা কর্মকার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাইমেনুল ইসলাম, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন ও রেজাউল ইসলামসহ এলাকার সুনামধন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও শাহ আলম মিয়া জানান,
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবেশ ও মাটির জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত ইউক্যালিপটাসের চাষ নিষিদ্ধ। অনিয়মে এই গাছের চারা উৎপাদন করায় দুটি নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে চারা ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি বলেন,
ক্ষতিগ্রস্ত নার্সারি মালিকদের প্রতি চারার জন্য ৪ টাকা হারে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই কৃষির স্বার্থে এ ধরনের গাছ চাষ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। নিয়মিত নজরদারির আওতায় এনে এ ধরণের কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে রিয়াজ উদ্দিনের মালিকানাধীন ‘মেসার্স কনক চাঁপা নার্সারি’ থেকে ১০ হাজার ৫০০টি এবং মোজাম্মেল হকের ‘আল আমিন নার্সারি’ থেকে ৩ হাজার ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও এটি অত্যধিক পরিমাণে পানি শোষণ করে ও মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। এজন্য কৃষিজমি বা বসতবাড়ির আশপাশে এ গাছের চাষ নিরুৎসাহিত করছে সরকার।
এজন্য সাধারণ জনগনের কাছে ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরে ইউক্যালিপটাস গাছগুলো অপসারন করে চারা রোপনে থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
গাছ রোপণের ভরা মৌসুম,,নিষিদ্ধ আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ বন্ধ করুন, অন্যান্য প্রজাতির গাছ রোপণে উদ্ভুদ্ধ করুন ।
Leave a Reply