1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের মেয়েদের পারফরম্যান্সে গর্বিত কোচ বাটলার,বললেন প্রতিভা ওঁদের সহজাত ইন্টার মিলানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বহুল প্রতিক্ষিত চ্যাম্পিয়ন্সলিগের শিরোপা জিতজল পিএসজি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শহীদ জিয়া: ডা. জাহিদ দুর্গাপুরে ১৩০ বোতল ভারতীয় মদ ও পিকআপসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই সম্পর্কের কোন নাম নেই চাটমোহর জালেশ্বরে ৫ মাসের কন্যা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার কমল ডিজেল-অকটেন-পেট্রোলের দাম, কেরোসিনে বেড়েছে ১০ টাকা জামায়াত ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে যাচ্ছে ২১ জুনে এবার সন্তান নিয়ে শাকিবকে জড়িয়ে অপু-বুবলীর পাল্টাপাল্টি পোস্ট কাশিয়ানীতে সরকারি জমি থাকলেও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ডুমুরিয়ায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার হুক্কা খাওয়া প্রথা

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ৪২ বার

শেখ মাহতাব হোসেন: বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার হুক্কা খাওয়া প্রথা। খুলনার ডুমুরিয়া এক সময়ে গ্রামে গ্রামে বয়স্ক বুড়ো- বুড়িদের হুক্কা খেতে দেখা যেত বিশেষ করে কৃষকদের দেখা যেত জমি চাষের সময়, চারা রোপনের সময় একটু বিশ্রম নেওয়ার সময় গাছ তলায় বসে মনের আনন্দে গান গাইতো এবং হুক্কা টানতো। বর্ষাকালে যখন মানুষ ঘরের বাহিরে যেতে না পারতো তখন ঘরের বারান্দায় বসে এমন কি শীতকালে যখন খুব শীত পড়তো তখন লেপ- খাতা গায়ে দিয়ে হুক্কা টানতে দেখা যেত। এমনকি গ্রামের মোড়ল, মাতুববর, জমিদাররা যখন বিচারে বসতে তখন বিচার কার্যপরিচালনার সময় হুক্কার পাইপ টানতো আর সকলের কথা বার্তা শুনে তাদের রায় ঘোষণা করতো। তখন তামাক হুক্কায় ভরে টানাটাই ছিলো তখনকার সমাজে সমাজপতিসহ প্রজাদের মধ্যে বিশাল প্রচালন। গ্রাম বাংলার সেই পুরনো প্রথা আজ আর দেখা যায় না হুক্কা খেতে। গ্রামে গ্রামে বুড়োদের হুক্কা খাওয়া নেশা করার একমাত্র প্রথা এখন বিলুপ্তির পথে। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি হুক্কা খাওয়ার সরঞ্জাম যেন বাড়ির একটি শোভা ছিল। যার বাড়িতে যত বেশি ঐসব সরঞ্জাম থাকতো, এলাকা জুড়ে তার পরিচিতি থাকতো তত বেশি। এতে করে শোভা পেত তার বাড়ির বৈঠকখানা। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই বৈঠক খানাও আর নেই, নেই হুক্কার সরঞ্জাম। সবকিছুই এখন বিলুপ্তি হতে চলেছে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় এবং ঝামেলামুক্ত থাকতেই লোকজন এখন অন্য নেশায় মত্ত। তামাকের মূল্যবৃদ্ধি, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গৃহস্থরা আর চায় না অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে। সময় ও অর্থ বাঁচাতে কৃষকদের মাঝেও গ্রামের বুড়োদের আর দেখা যায় না হুক্কা খেতে। তবে হুক্কা খাওয়া প্রথা বিলুপ্ত হতে চললেও এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন ডুমুরিয়ার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা গ্রামের মঠ মন্দির প্রহিত‌ অনেক বয়স্ক বুড়োরা। মাঝে মধ্যে এখনও এখানে অনেককে হুক্কা খাওয়ার মতো এমন চিত্র দেখা যায়। হুক্কা টানতে বসে মতিয়ার রহমান গাজী বলেন, ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে হুক্কা টেনে গা গরম করছেন। এছাড়া আগের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য তিনি এখনো মাঝে মাঝে হুক্কা খেয়ে থাকেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews