প্রাণের উচ্ছ্বাস কবি আড্ডা
মনিরুজ্জামান মনির
কলমে : শাহ আলম
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মোৎসবের দ্বিতীয় দিনে শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম । কাকতালীয়ভাবেই পাঠাগারে আগমন ঘটলো কবি ও বিশিষ্ট ছড়াকার ফকির খালেক মহোদয়ের । এক কাপ লেবু চা এবং কথার আড্ডায় অতিবাহিত হলো কিছুটা সময়, পরক্ষণেই আরেকজন শিশু বন্ধু কবি ও শিল্পী আতিকুল আপেলের আগমনে আরো প্রাণবন্ত ও জমে উঠলো আমাদের আড্ডা । কথা ও গল্পের একপর্যায়ে আতিকুল আপেল এর আমন্ত্রণে ডেমরার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের কারিগর অর্থাৎ পালপাড়া হয়ে পৌঁছে গেলাম আতিকুল আপেলের নিজ বাসভবনে । সাহিত্যকর্ম ও বিশ্বনন্দিত বরেণ্য ব্যক্তিদের পরিচিত ও তাদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আলোচনা চলছিল দীর্ঘ সময় । মুহূর্তগুলো সত্যিই দারুণ উপভোগ্য ছিল । আরাম আয়েস ও গল্পে আমরা যেন ডুবে ছিলাম কোন এক কল্পরাজ্যে । অতঃপর খাবার টেবিলে ফারজানা আতিকের আপ্যায়ন । সাদা ভাতের সাথে পাটের শাক ভাজি, টাকি মাছ দিয়ে লাউয়ের ঘন্ট আর দেশি মুরগির মাংশের বাঙালিয়ানা খাবারের এই সমাহারে সত্যিই খুঁজে পেলাম আমরা খাঁটি বাঙালি । সাদের কথা আর কি বলবো খেতে খেতেই কবি ফকির খালেক মহোদয় বারবার বলছিলেন রান্না একটি বড় শিল্প , সেই শিল্পের সবটুকু গুণাবলীই এই রান্নার মধ্যে বিদ্যমান । ধন্যবাদ ফারজানা আতিককে । আজকের এই পর্বটি লেখক কবি ও ছড়াকার ফকির খালেক মহোদয়ের কোন এক কাব্যে তুলে ধরার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । প্রথমেই বলছিলাম আমার শাহজাদপুর যাওয়ার তারা রয়েছে তাই আর দেরি না করে চায়ের কাপে ভাব বিনিময়ের মাধ্যমেই বিদায় নিলাম এই আঙিনা থেকে । বিদায় জানালাম ফকির আব্দুল খালেককে এবং আমিও রওনা হলাম শাহজাদপুরের দিকে । আজকের এই স্মৃতি স্মৃতিময় হয়ে থাকবে স্মৃতির জানালায় নিরন্তর । কবি আতিকুল আপেলকে ধন্যবাদ ।
Leave a Reply