নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর পল্লবীতে বিচার সংস্কার এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে এক নির্বাচনী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ আসর অনুষ্ঠিত এ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ঢাকা-১৬ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কর্নেল আব্দুল বাতেন (অব.)।
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (শুক্রবার) মিছিলটি শুরু হয় সেকশন-১১ ডি ব্লকের বায়তুল এহতেরাম জামে মসজিদ থেকে। সেখান থেকে কালশী রোড হয়ে পূরবী, ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড, ব্র্যাক ব্যাংকের পাশ দিয়ে ভাসানী মোড়, লালমাটিয়া টেম্পু স্ট্যান্ড, বেড়িবাঁধ, বাউনিয়াবাঁধ দাখিল মাদ্রাসা, বাজার ও কলাপট্টি অতিক্রম করে কালশী মোড় হয়ে পল্লবী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনে এসে শেষ হয়।
প্রধান বক্তার বক্তা হিসেবে ঢাকা-১৬ আসনের নির্বাচন ও পল্লবী জোন পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, বিগত ১৬ বছরে মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিচার সংস্কার ছাড়াই নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যা জনগণের সাথে প্রতারণা।
তিনি দাবি জানান, জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিশ্চিতকরণ, প্রবাসীদের ভোটাধিকার কার্যকর করা, এবং বিগত সরকারের অন্যায়ের বিচার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর্নেল আব্দুল বাতেন (অব.) বলেন, আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ময়দানে নেমেছি। কিন্তু এখনো নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। জুলাই আন্দোলনে ১৫০০ শহীদ হলেও তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত প্রত্যাশা বাস্তবায়ন হয়নি। চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের মতো অনিয়ম অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি আরও বলেন, ৩১টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৫টি দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছে। অথচ সরকার অল্প কিছু দলের স্বার্থ রক্ষায় এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,
“জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানিয়ে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়ে তুলুন এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
মিছিলে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী উত্তর মজলিসে শূরা সদস্য ও পল্লবী মধ্য থানা আমীর জনাব রইসুল ইসলাম পবন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগরী উত্তর মজলিসে শূরা সদস্য ও রূপনগর থানা আমীর আবু হানিফ, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমীর আশরাফুল আলম, পল্লবী উত্তর থানা আমীর সাইফুল কাদেরসহ বিভিন্ন থানার সেক্রেটারি, কর্মপরিষদ সদস্য ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply