চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নে চাপিরতলা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দিনমজুর মোঃ সোহাগ (৪১) ও তার পরিবারের উপর সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় নারীসহ অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী সোহাগ গতকাল বৃহস্পতিবার চৌদ্দগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে তার জেঠাতো ভাই নয়ন (৪২) ও জেঠা আবুল কাসেম (৭০) এর নেতৃত্বে অন্তত ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী গত বৃহস্পতিবার ( ১২ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথকভাবে তিন দফায় তার ও স্বজনদের উপর নৃশংস হামলা চালায়।
সোহাগ মিয়া অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, “সকাল ১১টার দিকে আমাকে ফোনে ডেকে নেয় মনতলী ব্রিজে। সেখানে পৌঁছালে নয়নসহ কয়েকজন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। লাঠির আঘাতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়, বাম হাত ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
এর এক ঘণ্টা পর, দুপুর ১২টার দিকে, সোহাগ তার খালাতো ভাই লিটন ও ভগ্নিপতি রিয়েলকে নিয়ে নয়নের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানতে গেলে আবারও তাদের উপর হামলা হয়। নয়নের হাতে থাকা ছেনির কোপে লিটনের মাথা ও হাতে গুরুতর জখম হয় অন্যদেরও মারধর করা হয়।
সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয় দুপুর ১টার দিকে সোহাগের নিজ বাড়িতে। অভিযোগে বলা হয়, নয়ন, আবুল কাসেম, শাজল, সেতু বেগমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জন একত্রিত হয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, নগদ ৮৫ হাজার টাকা ও প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণালংকার লুট ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমার মা জাহেদা বেগমকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে আবার ফেলে দেয়।”
আহতদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা পেয়ে বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত থাকলেও আতঙ্কে রয়েছেন।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, সোহাগ একজন সহজ-সরল দিনমজুর। তার অভিযোগ, বিবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন, যা এবার খোলামেলা হামলায় রূপ নেয়।
অভিযুক্ত নয়ন বলেন, সোহাগ সহ আরো কয়েকজন মিলে আমার বাড়ীতে হামলা করে আমার বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
Leave a Reply