শাহজাহান আলী মনন/নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা তদন্ত করে দায়িত্বহীনতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বুধবার সকালে তাঁরা রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার প্রাক্কালে বিকাল ৬ টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে সৈয়দপুর সেনানিবাস মার্কেটের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের পথরোধ করে। এতে তাঁরা গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এসময় নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ান হাসান আরও বলেন, প্রথমত এই হামলা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবশ্যই এর দ্রুত একশন নেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টাও নিন্দা জানিয়েছেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু এনসিপি নয় যে কোন দলের উপর যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনভাবেই বরদাস্ত করবোনা।
তিনি বলেন, এতবড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যতটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। সারাদেশে সার্বিকভাবে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এনসিপি বেশ কয়েক জেলায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও ঘটেনি। যারাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীকে অবরুদ্ধ করে নৈরাজ্য করার অপচেষ্টা চালায়। আসলে আওয়ামী লীগ এখনো প্রশাসনের সর্বস্তরে রয়ে গেছে। গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসীরা ঘাটি গেড়েছে। এদের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। বিচার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। দ্রুত আমরা বিচার সম্পন্ন হতে দেখতে পারো।
জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদেরই বেশি প্রয়োজন। কারণ আমরা থাকবোনা। রাজনীতিও করবোনা। এটা মূলত: রাজনৈতিক দলগুলোর উপর নির্ভর করছে। সনদের অনেকগুলো বিষয় আছে। এব্যাপারে দলগুলোকে ডেকে মতামত নেয়া হয়েছে। সবার খসরা একত্রে নিয়ে আমরা খসড়া তৈরি করার চেষ্টা করছি। যত দ্রুত সম্ভব এটা করা হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে একটা ধ্বংস স্তুপে পরিণত করে গেছে। সেখান থেকে নতুন করে গড়ার কাজ করছি আমরা। প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে তাদের লোক। তাই বেগ পেতে হচ্ছে। পুলিশকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। সে পর্যন্ত গোপালগঞ্জের মত ঘটনার মোকাবিলা করতে হবে।
আজ এনসিপির সাথে যা করা হয়েছে তা মূলতঃ নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতা। আমরা এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনভাবেই বরদাস্ত করবোনা। পুলিশসহ যাদেরই এর সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
Leave a Reply