1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর মধ্যে… জনপ্রিয়তা দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে কামরুল হুদা! কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর মধ্যে… জনপ্রিয়তা দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে কামরুল হুদা! রাজশাহীর জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী ট্রাইব্যুনাল ও দায়রা জজ -২ আদালতে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৬ মাসের শিশুর গলায় লিচুর বিচি আটকে মর্মান্তিক মৃত্যু সারজিসকে আইনি নোটিশ, চাইতে হবে প্রকাশ্য ক্ষমা লামায় চার দশকেও অসমাপ্ত গজালিয়া-ডিসিরোড হয়ে -আজিজনগর সড়ক বার বার নির্বাচিত পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য গাজী আবদুল হান্নানের পক্ষ থেকে অগ্রীম ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ডুমুরিয়ার গরু রাজা মানিক কে গোয়াল ঘর ভেঙে বের করতে হবে ছোটদের ছবি আঁকা নিয়ে প্রতিজ্ঞা, পাবনার বিশেষ আয়োজন বগুড়ায় ৪ কেজি গাজা সহ একজন গ্রেফতার

জরাজীর্ণ ভবনে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পাঠদান

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
  • ৪৮ বার

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৬নং দক্ষিণ জাগিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে পাঠদান। সরে জমিনে দেখাগিয়েছে বিদ্যালয়টির ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে, বিভিন্ন অংশে মেজে ভেঙে গেছে, দেয়ালেও দেখা দিয়েছে ফাটল। মনে ভয়নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরাও।

প্রায় দেড় যুগ ধরে চলছে এভাবেই পাঠদান। বছর কয়েক আগে বিকল্প হিসেবে একটি টিনসেট ঘর নির্মাণ করা হলেও সেখানে পাঠদান করানো যায়নি। যে কারণে বাধ্য হয়ে এখন ক্লাস নেওয়া হচ্ছে জরাজীর্ণ ভবনেই। এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই আসছে না বিদ্যালয়টিতে, চলে যাচ্ছে অন্যত্র।

এদিকে বিদ্যালয়টির এমন পরিস্থিতি ঝিমিয়ে পড়েছে সবকিছুই। শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউ আসেন সকাল এগারোটার পর কেউ চলে যান দুপুর ১টার পর এমনটিই জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

এ নিয়ে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে রয়েছে একটি পাকা ভবন। ভবনের চারটি কক্ষই জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পাঠদান ও পাঠগ্রহণ। শিক্ষকদের অফিস কক্ষেরও করুণ দশা। প্রথম শিফটের প্রথম শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থী মোট ১০ জন। কিন্তু উপস্থিতি দেখা মেলে তিন জনের। এই তিনজনের পাঠদান দিচ্ছেন শিক্ষিকা হাফসা সিদ্দিকা।

বিদ্যালয়টিতে নেই সবার ভালোমানের বেঞ্চ। প্রতি মুহূর্তেই পলেস্তারা খসে পড়ছে যার কারণে অনেকটাই ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলছেন এই শিক্ষিকা। অপরদিকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঁচ শিক্ষার্থী বসে রয়েছে কিন্তু শ্রেণী শিক্ষক আছেন ছুটিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে ৬নং দক্ষিণ জাগির পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ ৬ পদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। একজন শিক্ষককে ডিপোটেশনে উপজেলা শিক্ষা অফিসে নেওয়া হয়েছে। আরেক শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত থাকায় বাকি তিনজন দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি।

অপরদিকে বিদ্যালয়টিতে প্রাক প্রাথমিক হতে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ৫৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনা। এর জন্য দায়ী বিদ্যালয়টির এমন পরিস্থিতি। তাই দ্রুত একটি নতুন ভবন নির্মাণের দাবী স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকের।

স্থানীয় বাসিন্দা শরিফ উদ্দিন নামের একজন বলেন, বর্তমান এই স্কুলের চিত্র দেখলে নিজের কাছেই কষ্ট হয়। দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমছে। আমাদের দাবী একটি নতুন ভবন দ্রুত নির্মাণ করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।

বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হাফসা সিদ্দিকী জানান, বিদ্যালয়টির ভবন অবস্থা জরাজীর্ণ। শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শিক্ষকদের বসার রুম ও ভবনটির বাইরের প্রায় সব স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে।

সহকারী শিক্ষক এনামুল হক দায়িত্ব আছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের। তিনি বলেন, আমি যোগদান করার সময় থেকেই দেখে আসছি স্কুলের এমন অবস্থা। স্কুলের ভবনের এই পরিস্থিতির জন্য অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছে না। আমি শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি আমাদের দ্রুত একটি নতুন ভবন প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান জানান, নতুন একটি ভবনের জন্য ইতিমধ্যে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে যা অগ্রাধিকার তালিকায় আছে। আশা করছি খুব অচিরেই সেখানে একটি নতুন ভবন নির্মাণ হবে।

বার্তা প্রেরক
নিযেস্য প্রতিবেদক

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews