1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উল্লাপাড়ায় জামায়েত কর্মীর হামলায় বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব গুরুতর আহত সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না : গোলাম পরওয়ার প্রয়োজনীয় সংস্কার ও গণহত্যার বিচার শেষে নির্বাচন দিন : মিয়া গোলাম পরওয়ার ডুমুরিয়া উপজেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে ইসরাইলের আগ্রাসানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। চান্দিনায় এসিল্যান্ডের সম্মুখে সাংবাদিক’কে হেনস্তার অভিযোগ, প্রত্যাহারের দাবি সাংবাদিক মহলের চৌদ্দগ্রামে ৪দিনে উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী- পুলিশ মামলা গ্রহণ করতে তালবাহানা খুনী শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়েই হচ্ছে ‘নতুন আওয়ামী লীগ’ কালীগঞ্জে দলিল লেখক সমিতির সভাপতির  আয়ের সাথে সঙ্গতি নেই সম্পদের মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত প্রেমিকের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, বাধা দিতেই স্বামীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন জনপ্রিয় ইউটিউবারের

দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি বয়ে আনুক

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৪ বার

কবির হোসেনঃ বাংলা নববর্ষ। পুরাতন বছরের সব ব্যর্থতা, হতাশা আর গ্লানি ভুলে একটি নতুন বছরকে বরণ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আসলে পহেলা বৈশাখ হচ্ছে লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে নাগরিক জীবনের একটি সেতুবন্ধ। এই নববর্ষই বাঙালি জাতিকে একত্র করে জাতীয়তাবোধে। এ অনুষ্ঠান পরিণত হয় প্রত্যেকটি বাঙালির কাছে শিকড়ের মিলনমেলায়। ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে বাঙালি জাতি এই নববর্ষকে সাদরে আমন্ত্রণ জানায়।
পহেলা বৈশাখ বাঙালিরই শুধু নয়, বাংলা ভাষাভাষী আদিবাসী ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষের জীবন-জগতে স্বপ্নময় নতুন বছরের শুভ সূচনা ঘটায়। জীর্ণ-পুরোনোকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করে বাঙালি জাতি। পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতে থাকত পুরো জাতি।
এ দিনটি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম, ত্রিপুরাসহ দেশ-বিদেশে বসবাসরত প্রত্যেকটি বাঙালি নববর্ষ হিসেবে পালন করে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন প্রাণের উৎসব। বাঙালি এই প্রাণের উৎসবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে আবহমান বাংলার কৃষি। গ্রামীণ মেলাগুলো পরিণত হয় উৎসবে। এই উৎসবের রং একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়তে বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিয়েছে বারবার। দেশ স্বাধীনের পর বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেসকো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়। পহেলা বৈশাখ তাই কেবল একটি তারিখ মাত্র নয়, বাঙালির উৎসবের দিন।
এখন যেমন বাংলা নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, একসময় এমনটি ছিল না। তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হতো। এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল বিশেষ ঋতুনির্ভর। ফসল বোনা, ফসলের সময়ভিত্তিক যত্ন বা পরিচর্যা, ফসল কাটাসহ যাবতীয় কৃষিকাজ বাংলা সন-তারিখ পঞ্জিকা অনুযায়ী নিষ্পন্ন করা হতো। বাংলায় হরেক রকম মেলার দিন-তারিখও নির্ধারিত ছিল বাংলা সনের সঙ্গে। শুধু ফসল আর উৎসব নয়, বাঙালির কৃষকের পারিবারিক ও সামাজিক কাজকর্ম, বিবাহ, জন্ম-মৃত্যুসহ জীবনের সব বিষয়েই বাংলা সন ছিল একক ও অনন্য। ব্যবসা-বাণিজ্যে ছিল হালখাতা খোলার প্রচলন। ঘরে ঘরে বিলি করা হয় মিষ্টান্ন।
সময়ের আবর্তনে বৈশাখ আজ নাগরিক জীবনেরও উৎসব হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিকভাবেও নববর্ষ বিশাল ভুমিকা রাখছে এখন। সবাইকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। লেখকঃ কবির হোসেন/ সাংবাদিক।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews