1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যুবলীগের ছত্রছায়ায় শরিফ-তাবরেজের তাণ্ডবে রূপনগর অশান্ত, সেনা হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে পরিস্থিতি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি, প্রাণহানি ৫১ হাজার ছুঁই ছুঁই লামায় নববর্ষের শুরুতেই সকালে ৫৮ বছরের বৃদ্ধ মহিলা কে পিটিয়ে হত্যা “ফাতেমাতুজ্জোহরা” উল্লাপাড়া পৌরসভার ডাম্পিং পয়েন্টে এখন মাছ চাষের ভাগার ! হদিস নেই লুট হওয়া অস্ত্রের– নেই কোনো অভিযান! সাভারে ছাত্রহত্যাকারীরা প্রকাশ্যেই প্রশাসনের নীরবতা আগুনে ঘি ঢালছে লামা মিরিঞ্জা ভ্যালীর সড়ক নির্মাণ পর্যটকসহ স্থানীয়দের প্রাণের দাবি ভাঙ্গুড়ায় নানা আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ-১৪৩২ উদযাপন চৌদ্দগ্রামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৈশাখী আনন্দ শোভাযাত্রা

ডুমুরিয়ায় লেবু চাষে খলিল বিশ্বাসের উদ্যোগ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬১ বার

শেখ মাহতাব হোসেন: ডুমুরিয়া ( খুলনা) প্রচন্ড গরমে লেবুর কোন বিকল্প নেই। লেবু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল। পৃথিবীর সর্বত্রই লেবুজাতীয় ফল অত্যন্ত সমাদৃত। বাংলাদেশের লেবুজাতীয় ফল বলতে প্রধানত কমলালেবু, মাল্টা, এলাচিলেবু, বাতাবিলেবু, কাগজি লেবু, পাতিলেবু প্রভৃতিকে বোঝায়। স্বাদে ও গুণে এ জাতীয় ফল যেমন মনোমুগ্ধকর, তেমনি পুষ্টিমানেও অতুলনীয়। লেবুজাতীয় ফল আমাদের দেহের নানা উপকারে আসে। এ জাতীয় ফল ভিটামিন ‘সি’ এর উৎকৃষ্ট উৎস। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ‘সি’ এর গুরুত্ব অপরিসীম। সুতরাং ভিটামিন ‘সি’সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণে আমাদের প্রতিদিন লেবুজাতীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা একান্ত অপরিহার্য।

লেবু চাষ করে প্রথমবারই সফল হয়েছেন মোঃ খলিল বিশ্বাস (৫২)। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া সদরের গ্রামের বাসিন্দা। বসতবাড়ির পতিত জমিতে সুগন্ধি সিডলেস জাতের লেবু চাষ করে অধিক ফলন ও দাম পেয়ে খল বিশ্বাস দারুণ খুশি। প্রায় ২ বছর আগে বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ রঙের লেবু। তার এমন সাফল্য দেখে এলাকার অনেক মানুষ লেবু চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।

সরেজমিনে খলিল বিশ্বাস সাথে এ কথা হলে। জানা যায়, গত ২ বছর আগে তিনি আষাঢ় মাসে ৫০ শতক জমিতে উন্নত পদ্ধতিতে একশ’ সুগন্ধি লেবু (পাতি লেবু) এর চারা রোপণ করেন। তিনি বলেন, উঁচু ও মাঝারি উঁচু প্রকৃতির দো-আঁশ মাটি লেবু চাষের জন্য উপযুক্ত।
চারা রোপণের আগে জমিতে ২-৩টি চাষ ও মই দিয়ে আগাছামুক্ত ও সমতল করে জমি তৈরি করে ৩.৫ মিটার দূরে দূরে সারি করে প্রতি সারিতে ৩.০ মিটার পর পর ৫০ সেমি. চওড়া ও ৫০ সেমি. গভীরতা বিশিষ্ট গর্ত তৈরি করা হয়। এরপর প্রতি গর্তের ওপরের স্তরের মাটির সাথে ১০ কেজি গোবর, ৩০০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম এমওপি ও ১০০ গ্রাম জিপসাম সার ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত পুণরায় ভরাট করা হয়। সার মিশানো মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে ৮-১০ দিন পর গর্তের ঠিক মাঝখানে এক বছর বয়সের লেবু চারা রোপণ করা হয়। গর্তে চারা রোপণ করার পর চারদিকের মাটি হাত দিয়ে হালকাভাবে চেপে বসিয়ে দিয়ে চারার গোড়ায় ঝাঝরি দিয়ে পানি সেচ দিয়ে গর্তের মাটি ভালো করে ভিজিয়ে দেওয়া হয়।

খলিল‌‌ আরো জানান, লেবু চারা রোপণের তিন মাস পর অর্থাৎ গাছের নতুন শিকড় মাটিতে লেগে যাবার পর প্রতি গাছে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টিএসপি, ৫০ গ্রাম এমওপি ও ১০ গ্রাম দস্তা সার গাছের গোড়া হতে কিছু দূরে ছিটিয়ে প্রথম উপরিপ্রয়োগ করা হয়। এরপর চারা রোপণের দশ মাস পর প্রতি গাছে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৩০০ গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম এমওপি, ২০ গ্রাম বোরন ও ১০ দস্তা সার গাছের গোড়ার চারদিকে (গাছের গোড়া থেকে ১০-১৫ সেমি, দূরে) ছিটিয়ে কোদাল দিয়ে হালকাভাবে কুপিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দেওয়া হয়। সার প্রয়োগের পর গাছের গোড়ায় ঝাঝরি দিয়ে পানি সেচ দিতে হয়। তাছাড়া নিয়মিত নিড়ানি দিয়ে চারার গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করা হয় এবং মাটিতে রসের অভাব হলে লেবু গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে। লেবুগাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সময় গাছের যাতে পানি না জমে সেজন্য নালা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। লেবুর এমিথ্রিন প্লাস (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ০২ গ্রাম) এবং পাতার প্রজাপতি পোকার কীড়ার কবল থেকে লেবুর পাতা রক্ষার জন্য দাগ রোগ (এ্যানথ্রাকনোজ রোগ) প্রতিরোধের লক্ষ্যে টিল্ট-২৫০ ইসি (প্রতি ১০ লিটার পানিতে ০৫ মিলি মিটার) নামক ছত্রাকনাশক লেবু বাগানে নিয়মিত স্প্রে করেছেন বলে তিনি জানান।।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews