1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রয়োজনীয় সংস্কার ও গণহত্যার বিচার শেষে নির্বাচন দিন : মিয়া গোলাম পরওয়ার ডুমুরিয়া উপজেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে ইসরাইলের আগ্রাসানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। চান্দিনায় এসিল্যান্ডের সম্মুখে সাংবাদিক’কে হেনস্তার অভিযোগ, প্রত্যাহারের দাবি সাংবাদিক মহলের চৌদ্দগ্রামে ৪দিনে উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী- পুলিশ মামলা গ্রহণ করতে তালবাহানা খুনী শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়েই হচ্ছে ‘নতুন আওয়ামী লীগ’ কালীগঞ্জে দলিল লেখক সমিতির সভাপতির  আয়ের সাথে সঙ্গতি নেই সম্পদের মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত প্রেমিকের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, বাধা দিতেই স্বামীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন জনপ্রিয় ইউটিউবারের আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি মেঘনার গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

দেশের অর্থনীতি আরো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৪ বার

গাজী ফারুক আহমেদ পৃথ্বীঃ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। কয়েক বছর ধরেই স্মরণকালের উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা, ডলার সংকট, রিজার্ভের ক্ষয়, বিনিয়োগ খরা, রাজস্ব ঘাটতি, ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি ও অনিয়ম-দুর্নীতি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের লুটপাট, অব্যবস্থাপনাসহ অর্থনীতি বিভিন্ন সংকটে নিমজ্জমান। গত বছরের আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন খাতে অস্থিরতা বাড়তে থাকে। তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে থাকে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এত দিন পর্যন্ত বেশকিছু বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। বাণিজ্য ও অনুদানের ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি মিলবে আগামী বছরের নভেম্বরে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর যেমন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে তেমনি সুযোগও তৈরি হবে। তখন আগের পাওয়া সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে না এবং আরো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা করতে হবে। শুধু পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও রফতানি পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ অর্থনীতিকে আরো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি যে এখন সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে তা শিল্পপতিদের বক্তব্যেও উঠে এসেছে। বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণ তিন বছর পেছানো না গেলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে বলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ব্যবসায়ীরা এ মুহূর্তে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে। গত এক বছরে দেশের ১০০ গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আরো ২০০ কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। বর্তমান সরকার টিকফা চুক্তির মাধ্যমে জিএসপি সুবিধা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশনে শ্রম আইন বাস্তবায়নে কাজ করছে। অথচ জিএসপি দিলেও সেখানে গার্মেন্ট ও টেক্সটাইলে কখনো শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না। তাই সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পিরিয়ড তিন বছর পেছানোর দাবি করেছেন তিনি। ২০ জানুয়ারি ‘বাংলাদেশ ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি: আনলকিং এক্সপোর্ট পটেনশিয়াল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টাও বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আমরা ফাঁদে পড়ে গেছি, এখন এখান থেকে বের হতে পারব না। শিল্পপতি ও সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশের অর্থনীতি আরো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে এলডিসি তালিকা হতে উত্তরণে চূড়ান্ত সুপারিশ জাতিসংঘ অনুমোদন করেছিল ২০২১ সালের নভেম্বরে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি মিলবে আগামী বছরের নভেম্বরে। তিনটি মানদণ্ডে বাংলাদেশকে ধারাবাহিকভাবে উত্তীর্ণ হতে হয়েছে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (সিডিপি) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অনুকূলে উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কিত নীতি-পরামর্শ দিয়ে থাকে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিডিপি তিনটি মানদণ্ড নির্ধারণ করে। সেগুলো হলো মাথাপিছু আয়, জনসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক।
এছাড়া কোনো কারণে যদি বিশ্বে তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদা কমে যায় বা ধস নামে তাহলে কিন্তু আমাদের রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। এরই মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের বহু প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রবাসী আয় আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কোনো কারণে যদি মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিতে ভাঙন দেখা দেয়, তাহলেও আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। সত্তর কিংবা নব্বইয়ের দশকের উপসাগরীয় যুদ্ধ আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব রেখেছিল। আমাদের যাতে ওই ভঙ্গুরতার মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সুযোগও তৈরি হবে। তবে সেগুলো মোকাবেলার জন্য আমাদের যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য। নীতিসহায়তা ও সংস্কার, অর্থায়ন, লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি এবং আর্থিক খাত চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ যত সহায়ক হবে রফতানি খাতে তত বেশি সাফল্য আসবে। সেই সঙ্গে শুল্কহার বেশি থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যাহত হয়, তাই সহায়ক রাজস্ব নীতিমালার কোনো বিকল্প নেই। রফতানিমুখী শিল্পের জন্য স্বল্প সুদে অর্থায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে একটি সহায়ক বিনিময় হার নির্ধারণ করার ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে প্রস্তুতির জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সময় নেই।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গৃহীত মুদ্রানীতির কার্যকারিতা এখনো বাজারে দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে আরো সচেতন হতে হবে। বাণিজ্যবিষয়ক লজিস্টিক সেবা প্রদানে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে, যার উত্তরণ অপরিহার্য। এ মুহূর্তে এলডিসি উত্তরণ আমাদের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। লেখকঃ গাজী ফারুক আহমেদ পৃথ্বী/ সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews