চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: তারুণ্যের উৎসব ২০২৫-এর লক্ষ্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা, পারস্পরিক সহযোগিতার মানসিকতা গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির সৌন্দর্যকে উদযাপন করা। কিন্তু কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে’র ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে মেলা ও পিঠা উৎসবে নেই কোন আমেজ। ১৫টি স্টল নির্মাণ করলেও কোন রকম দায়সারা ভাবে মাত্র ৫টি স্টল বুকিং হয়েছে। ৫টি বুকিং হলেও নেই ক্রেতা ও দর্শনার্থী। “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” ¯েøাগানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সরকারি সিদ্ধান্তে তরুণদের উৎসাহিত করতে ৩দিন ব্যাপী (২১-২৩ জানুয়ারি) এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন পরিকল্পনাহীনভাবে ও কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা না করেই কোন রকম দায়সারা ভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে বলে মেলায় স্টল নেওয়া উদ্যোক্তাগণ ও দোকানীরা অভিযোগ করেন। তাই জমেনি এবারের তারুণ্যের মেলা ও পিঠা উৎসব। যে কয়েক জন দোকানী স্টল নিয়েছে তাদেরও মাথায় হাত, কেননা তাদের দৈনন্দিন খরচতো মিটেনি বরং কয়েকগুন লোকসান হয়েছে।
শেষ দিবসে মেলার স্টল গুলো সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এবারের মেলায় সর্বমোট ১৫টি স্টলের মধ্যে ১০টি স্টলই ছিলো খালি। কোনো উদ্যোক্তাই এসব স্টল বরাদ্দ নেয়নি বলে স্টল নেওয়া অন্যান্য উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। প্রচারণা না থাকায় মেলায় ক্রেতা সাধারণ আসেনি বললেই চলে। ক্রেতা না আসায় বিক্রয়ও নেই। এতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে মেলায় স্টল নেওয়া উদ্যোক্তারা পড়েছেন বিপাকে। প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি না হওয়ায় মেলার খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
মেলার একটি স্টল মালিক হাবিবুল্লাহ কসমেটিকস এর স্বত্ত¡াধিকারী কাজী ইসমাইল বলেন, তারুণ্যের মেলার আজকে শেষ দিন, কিন্তু বিক্রিতো দূরের কথা দর্শনার্থীও নেই। উপজেলা প্রশাসনের ডাকে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে মেলায় স্টল নিয়েছিলাম। কিন্তু মেলায় ক্রেতা না আসায় তিন দিনে মোট বিক্রি হয়েছে মাত্র ২ হজার ১০০ টাকা।
মুজাহিদুল ইসলাম নামে আরেক বিক্রেতা জানান, মেলায় বেচাকেনা নেই বললেই চলে। তিনদিনে মোট ২ হাজার ৯০০ টাকা বিক্রি করেছি। এমন দায়সারা মেলার আয়োজন হবে জানলে স্টল নিতাম না।
নবনিতা যুব মহিলা ক্লাবের নুসরাত আলমসহ অন্যান্যরা জানান, মেলায় ক্লাবের পক্ষ থেকে দু’টি স্টল নেওয়া হয়েছে। ১০ জন কর্মী খেটেছে। আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় লোকসান হবে এবার।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘মাইকিং সহ ব্যাপক প্রচারণা করা হয়েছে। গতকালকে ১০-১১টি স্টল ছিলো। তারুণ্যের উৎসব বাস্তবায়নে বিভিন্ন ইউনিয়নে খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও কর্মশালা প্রোগ্রাম থাকায় এবারের মেলাটি কম জমেছে।’
Leave a Reply