আমজাদ হোসেন নওগাঁ:নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন অতি দরিদ্র, ভূমিহীন ও বেকার জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চিতকরণের জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) এবং কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে রাতের আঁধারে সস্তায় মাটি কাটায় বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে শ্রমিকদের মজুরি নগদ অর্থের বদলে খাদ্যশস্য (যেমন চাল বা গম) দিয়ে পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চাকরামপুর গ্রামের আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙ্গা অংশ সংস্কার কাজের জন্য ১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী শ্রমিকের পরিবর্তে স্কেভেটর ভেকু মেশিন দিয়ে কোনরকম দায়সারা ভাবে মাটি কেটে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। দাসপাড়া হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনসুর রহমান, দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ ইয়াকুব আলী, মোঃ আমজাদ হোসেনসহ আরো অনেকে বলেন, জোকা হাট হতে শহর বাড়ি বটতলা পর্যন্ত বেরিবাঁধের ভাঙ্গ সংস্করণ কাজেও ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। রাতের আঁধারে কোনরকম দায়সারা ভাবে কাজ করে চলে গেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি হলে চোখের নিমিষেই এটি ভেঙে যাবে। এ কাজ আমাদের কোন উপকারে আসবে না। এ ঘটনায় ১৪নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম গোলাম আযম বলেন, সে সময় আশপাশে মাটি পাওয়া যাচ্ছিল না, এছাড়াও বরাদ্দ কম যার কারণে লেবার খরচ বেশি হবে এ জন্য (স্কেভেটর) ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে। এব্যাপারে মান্দা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, কাজের মান ভালো না খারাপ সেটা এখনো দেখা হয়নি পরিদর্শন করে যদি বেরিবাঁধ সংস্কার কাজের কোন অনিয়ম থাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply