মীর হোসেন মোল্লা: এ বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে তারা। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। তবে আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় বিএনপি ও জামায়াত এখন একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে। বিপ্লবী ছাত্ররাও নতুন দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
জানাগেছে, ত্রয়োদশ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে বিএনপি। এবারের নির্বাচনে তরুণ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সাজানো হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন- সংগ্রামে যেসব দল ও জোট অংশ নিয়েছে, তাদের নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তা রয়েছে বিএনপির। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের দলীয় প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম- আহবায়ক মোঃ কামরুল হুদাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি শুধু মাত্র সময়ের দাবী। কেন্দ্রীয় নেতাদের সবুজ সংকেতে তিনি চৌদ্দগ্রামের নির্বাচনী মাঠ গোচানোর রোডম্যাপ ইতিমধ্যে শেষ করে নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, গত প্রায় দুই যুগ ধরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ কামরুল হুদা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে- নির্বাচনের প্রতিক্ষায় দিন গুনছেন। সাংগঠনিক অবস্থাকে খুব শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পাশাপাশি কামরুল হুদা সাধারন মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করেছেন অনেক গ্রহনযোগ্যতা। বিগত ১৬ বছরের নির্যাতনের অবসানের পর- কামরুল হুদা দলীয় অবস্থান শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তিনি বীরদর্পে আজও রাজনৈতিক মাঠ দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জামায়াতের সূত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সব প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁদের অনেক নেতা। সম্প্রতি দলটির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠকে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরেই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে নির্বাচনে বিএনপির প্রতিপক্ষ সম্ভাব্য প্রার্থী জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন। কিন্তু বিএনপির নেতা মোঃ কামরুল হুদার নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনে- তার প্রতিপক্ষকে মোটেও শক্তিশালী মনে করছেন না। বিগত ১৬ বছর চৌদ্দগ্রাম রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে থাকা কারনে, ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের সাধারণ মানুষের কাছে আস্থাভাজন হয়ে উঠতে না পারলেও- চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন সেক্টরে তিনি বেশ উন্নয়ন করেছেন। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক মাঠে উপস্থিত না থাকা ডাঃ তাহেরের সাধারন ভোটারের মন জয় করতে ব্যর্থ হলেও- সাংগঠনিকভাবে তিনি এখন খুব শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন।
সূত্র জানায়, বর্তমান চৌদ্দগ্রামের জামায়াত বনাম বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দিন দিন প্রতিহিংসা ও রেষারেষির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই কর্মকাণ্ড কতটুকু শান্তিময় থাকে সেটাই দেখার বিষয়।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার বিষয়ে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
Leave a Reply