আ: রহিম গাজী/রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা:
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫ নং চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছেন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ভবনটির অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে এবং উপরের পলেস্তরা খসে পরে বৃষ্টির পানি চুয়ে চুয়ে পরছে এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সহ মূল্যবান ঔষধপত্র নষ্ট হওয়ার আসংখ্যা আছে। উক্ত ভবনটির এক জন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চরম ঝুঁকি নিয়ে দ্বায়িত্বপালন করছেন। উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো: সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ৫ নং চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তারপরও নেওয়া হচ্ছে না সরকারি ভাবে কোন উদ্যোগ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেলর কাছে বার বার লিখিত ভাবে চিঠি প্রেরণ করেছি এবং মৌখিক ভাবেও জানিয়েছি কিন্তু কোন ফলাফল পাইনি, শূধু আশ্বাস পেয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেজবাহ উদ্দিন জানান, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্র টি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং ভবনটির পূর্ণাঙ্গ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি। অনুমোদন পেলে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, “চালিতাবুনিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার জন্য পাশের কোনো ভাড়া বাসায় কাজ চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।”
চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো: বিপ্লব হাওলাদার বলেন, এই কেন্দ্রটি শিশু, নারী ও সাধারণ জনগনের জন্য অপরিহার্য। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে স্বাস্হ্যসেবা প্রভাবিত হচ্ছে।দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন ।
স্হানীয়রা জানায়, বৃষ্টির সময় ভবন থেকে পানি পড়ে, দেয়াল ভেঙ্গে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। সরঞ্জামের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাব রয়েছে। নতুন ভবন হলে সেবা মান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে.
Leave a Reply