আ: রহিম গাজী/ রাঙ্গাবালী ( পটুয়াখালী ) সংবাদদাতা : পঞ্চাশ বছর ধরে চলছে আত্মসাৎ অর্ধ কোটির ও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আত্মসাতকারীরা। উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন নব গঠিত কমিটির সদস্যরা।
সরেজমিনে ঘুরে স্হানীয়দের কাছে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলায় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ গাববুনিয়া গ্রামের হাজী মৌজে আলী দফাদার ষাটের দশকে তার নিজ বাড়িতে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে, মসজিদের নামে ৭ একর ২৪ শতাংশ জমি দান করেন। ১৯৬৫ সালের বন্যার পর তিনি মারা গেলে, স্বঘোসিত সেক্রেটারি হন তার সেজো ছেলে, মালেক মোহাম্মদ। ১৯৭০ সালের বন্যায় মসজিদ টি ভেঙে গেলে এই সুযোগে সেক্রেটারি মসজিদের সম্পদ আত্মসাত করার উদ্যোশ্যে তার নিজ বাড়ি কাটাখালী গ্রামে মসজিদ নামে ছোট্ট একটা ঘর তুলে, সম্পদের আয় আত্মসাত করেন, কয়েক বছর পর তিনি মারা গেলে তার পরবর্তীরা স্ব ঘোষিত সেক্রেটারী সেজে আত্মসাৎ অব্যাহত রাখেন। বর্তমানে তার ছেলে খলিল দফাদার ও নাতি এনায়েত করিম মিলে ওই সম্পদকে নিজেদের সম্পদ দাবী করে একসনা লাগিয়ে প্রতি বছর প্রায় দু লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যা এলাকাবাসীর ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করার সামিল। দাতার ওয়ারিশ হেলাল দফাদার, সুজন মাহমুদ, নান্নু দফাদার, রাসেল মাহমুদ, রিয়াজ দফাদারসহ অনেকে বলেন, ১৯৭০ সালের পর থেকে এপর্যন্ত অর্ধ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছে। মসজিদের কমিটি আছে কি না, আমাদের জানতে দেয়া হয়নি। আমাদের পুর্ব পুরুষের গড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি সচল করতে অনেক চেস্টা করেছি। আত্মসাতকারীরা আমাদের কোন কথায় কান দেয়নি। তাই আমরা এলাকার মুসুল্লীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করে, রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে জমা দিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চেয়েছি।
গ্রামবাসী জানান, মসজিদ নামের ওই ঘরটিতে কেউ নামাজ পড়েনা, পাটাতনের নীচে প্রায়ই ছাগল ভেড়া থাকতে দেখা যায়। এত সম্পদের মালিক যে মসজিদ, সেই মসজিদটি এতদিনে পাঁচতলা বিল্ডিং হওয়ার কথা। কিন্তু ঘরটিকে পুজি করে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, যা স্বচক্ষে দেখলেই অনুভব করা যায়।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত খলিল দফাদার বলেন, আইন করে আইনের মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে জমি নিতে হবে।
Leave a Reply