রাসেল আদিত্য,স্পোর্টস ডেস্ক।।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সবটুকু আত্মবিশ্বাস নিংড়ে নিয়েছে বাংলাদেশ দলের।মূলতঃ কোন প্রকার মানসিক দৃঢ়তা ছাড়াই পাকিস্তানে আসে লিটনরা।সিরিজ শুরুর আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কোচ সিমন্স যতোই বলুক,তাঁর ছেলেরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে,তা ছিলো নিতান্তই কথার কথা।আসলে বাংলাদেশ দলের জন্য আশার জায়গা একটিই ছিলো,তাহলো পাকিস্তান দলের সঙ্গে জুড়ে থাকা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ শব্দটি।
কিন্তু সদ্যই পিএসএল খেলা পাক ক্রিকেটাররা চাইলেও বাজে খেলতে পারতোনা।হলোও তাই।
বাংলাদেশকে ৩৭ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজে শুভসূচনা করলো স্বাগতিক পাকিস্তান।
আজ ২৮ মে বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে নিজেরা ব্যাট করতে নেমে
শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে সাময়িক চাপে পড়লেও পিএসএলে ভালো ব্যাট করা চার ব্যাটারের কল্যানে শুরুর সেই চাপ কাটিয়ে সাত উইকেটে ২০১ রান সংগ্রহ করে।জবাবে চার বল বাকি থাকতেই ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।৩৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ইনিংসের তৃতীয় বলেই মাত্র এক রানে প্রথম উইকেট হারায়।সাইম আইয়ুব মেহেদীকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে কোন রান না করেই ফিরে যান।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুলের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান ফখর জামান।এক রান করা ফখর দলীয় পাঁচ রানে আউট হন।
কিন্তু এরপরই পাল্টা আক্রমণে উঠে মোহাম্মদ হ্যারিস ও কাপ্তান সালমান আগা পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে দুই উইকেটে ৫১ রান করে।সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে তানজিম সাকিব মোহাম্মদ হ্যারিসকে তানজিদের ক্যাচে পরিণত করে জুটি ভাঙেন।১৮ বলে ৩১ রান করে আউট হন হ্যারিস।
তাঁর বিদায়ের পর উইকেটে আসেন পিএসএলের টূর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হওয়া হাসান নওয়াজ।
আজও নওয়াজ তাঁর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন।অন্য প্রান্তে সালমানও একই মুডে ছিলেন।ফলে দুজন মিলে ৩৩ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন।দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে হাসান মাহমুদ সালমানকে তুলে নিয়ে সেই জুটি ভাঙেন।৩৪ বলে ৫৬ রান করে আউট হন তিনি।
এক ওভার পর হাসান নওয়াজকে তুলে নেন ম্যাচে সবচেয়ে খরুচে বোলার রিশাদ হোসেন।চার ওভারে ৫৫ রান দেন এই লেগি।২২ বলে দুই চার ও চার ছক্কায় ৪৪ রান করে আউট হন নওয়াজ।কিন্তু
তারপরও পাকিস্তানের রানের ফোয়ারা থামেনি।
শাদাব খাঁন এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে শুরু করেন।২৫ বলে ৪৮ রান তুলে শরিফুলের বলে রিশাদের তালুবন্দী হয়ে যখন ফিরে যান ইনিংসের এক বল বাকি তখন।সাত উইকেটে ২০১ রান করে পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ তাঁর স্বভাবসুলভ মারমূখী ব্যাটিং শুরু করলেও ইনিংস বড়ো করতে পারেননি।ইমনের পর দলের দ্বিতীয় উইকেট হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে ১৭ বলে ৩১ রান করেন।এরপর লিটন দাস ও তৌহিদ হৃদয় মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৩ রান করে লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছিলেন।কিন্তু দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে শাদাব খাঁন লিটনকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন।৩০ বলে ৪৮ রান করে আউট হন লিটন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৯.২ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে ৩৭ রানের অনুমিত পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। জাকের আলী ২০ বলে ৩৬ রান করে ব্যবধান কমিয়েছেন মাত্র।ব্যাট বলে দারুণ পারফর্ম করা শাদাব খাঁন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান।হাসান আলী ৩০ রানে পাঁচ উইকেট নেন।শাদাব নেন দুটো।৩০ মে শুক্রবার একই মাঠে একই সময়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে দুই দল।
Leave a Reply