শেখ মাহতাব হোসেন: বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যেখানে মৎস্য ও মৎস্য চাষ খাতের প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যদিও মৎস্য খাত থেকে বাগদা/ব্ল্যাক টাইগার চিংড়ি প্রধান রপ্তানি পণ্য হিসেবে বিদ্যমান, তবে চিংড়ি চাষের আধুনিকায়নের পাশাপাশি অন্যান্য অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ লবণাক্ত সহীষ্ণু উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতিসমূহের টেকসই ও খাদ্য-ভিত্তিক বাণিজ্যিক চাষাবাদ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই খাত থেকে রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়নের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ রয়েছে। এই কৌশলগত লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল (বিপিসি)-এর মাধ্যমে মৎস্য খাতকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে বেসরকারী খাতের অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, উত্তম মৎস্য চাষ (GAqP) পদ্ধতি গ্রহণ, আন্তর্জাতিক মানদন্ড পূরণ, এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তৃতীয় পক্ষের সার্টিফিকেশনের (Third-Party Certification) প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন ও সম্ভাব্য করণীয়
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ শ্রিম্প ও ফিশ ফাউন্ডেশন (বিএসএফএফ) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল (BPC)-এর যৌথ উদ্যোগে এবং মৎস্য অধিদপ্তরের (DoF) সহযোগিতায় বুধবার ২৮ মে ২০২৫ সকাল সাড়ে ১০টাম খুলনাতে অবস্থিত সিএসএস আভা সেন্টারে ‘টেকসই তৃতীয়-পক্ষ সার্টিফিকেশনের লক্ষ্যে অ্যাকুয়াকালচার ইম্প্রুভার প্রোগ্রাম (এআইপি) বাস্তবায়নের উপর একটি সচেতনতামূলক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের মৎস্য খাতের অংশীজনরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার লক্ষ্য ছিল উত্তম মৎস্য চাষ (GAqP) পদ্ধতি এবং টেকসই তৃতীয় পক্ষের সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশে মৎস্য খাতকে আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে নেওয়া।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মোঃ বদরুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগের পরিচালক, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন weGdGdBG-Gi fvBm †cÖwm‡W›U এস.কে. কামরুল আলম এবং বিপিসি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক পলাশ কুমার ঘোষ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে টেকসই মৎস্য চাষের উন্নয়নের জন্য সঠিক প্রযুক্তি, সঠিক উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, এবং তৃতীয় পক্ষের সার্টিফিকেশনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিএসএফএফ-এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম কর্মশালার সমাপ্তি বক্তব্যে জানান, এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশকে বৈশ্বিক মানের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য সরবরাহে সক্ষম করে তুলবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, এ কর্মশালার অংশ হিসেবে একটি উন্মুক্ত আলোচনা সেশনের আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
Leave a Reply