স্টাফ রিপোর্টারঃ মাদ্রাসার ছাত্রকে অপহরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী, রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে ৪/৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২০ শে এপ্রিল রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় উপজেলার কাদৈর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দায় থেকে রেহাই পেতে, হামলাকারী সোহাগ গং সন্ত্রাসী বাহিনী, উল্টো মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে পরিকল্পিত একটি মামলা দায়ের করে- ভূক্তভোগী আহত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জনায়, গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর গ্রামের মোঃ বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ (৩০) একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ নাজিম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ২০ শে মার্চ সোহাগ গংদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে (যাহার নং ২২১/২৫)। আদালতে চলমান মামলার আসামি মোঃ সোহাগ গং বাহিনী ঘটনার দিন অপহৃত নাজিম উদ্দিন কে ফেরত দেয়ার কথা বলে, আবুল কালামের নিকট ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় নাজিম উদ্দীনকে ক্ষয়ক্ষতির হুমকি প্রদর্শন করায়- উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আবুল কালামকে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে আক্রমণ চালায়। প্রাণের ভয়ে আবুল কালাম দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। কাদৈর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহাগ (৩০) মোঃ সুমন (২৫) মোঃ সুজন (২২) সুরুজ মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (৪০), জয়নালের ছেলে সোহাগ মিয়া (৩২) শাহ আলমের ছেলে সজীব (৪০) মনিরের ছেলে মোঃ মিজান (৩২) সহ অজ্ঞাতনামা লোকজন পেছন থেকে আবুল কালামকে দৌড়াইয়া তার বাড়িতে ঢুকে- বাড়িঘরে হামলা লুটপাট ভাঙচুর শুরু করে। এসময় প্রতিবেশীরা হামলাকারীদেরকে শান্ত করার এবং জীবন রক্ষার চেষ্টা করলে ৪/৫ জন প্রতিবেশীও এ সময় আহত হয়। দিশেহারা হয়ে স্থানীয়রা সাংবাদিক এবং চৌদ্দগ্রাম থানার ওসিকে সরাসরি মোবাইলে অবিহিত করলে, চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তৎক্ষণিক সন্ত্রাসী সোহাগ তার হাতে থাকা দাঁড়ালো একটি কিরিজ ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে উক্ত ধারালো অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা করায়। এ ঘটনার পর আহত আবুল কালাম সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকির ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনার বিষয়ে গত ২৯ শে এপ্রিল কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবুল কালাম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা থেকে রেহাই পেতে পরদিন ৩০ শে এপ্রিল আবুল কালামের মামলার বিবাদী- একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে মিজান বাদী হয়ে আহত আবুল কালাম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে। হামলাকারীদের দেয়া মিথ্যা মামলার বিষয়ে এলাকার ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয় এবং আহত আবুল কালাম গংরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
Leave a Reply