সংবাদদাতা: কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা গুনবতী ইউনিয়নের বুধরা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন কে প্রধান আসামি করে ৫জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন রাশেদা আক্তার।
সরজমিনে তদন্ত করে জানা যায় গত ০১/০৫/২০২৫ ইংরেজি দলবল নিয়ে আসামি পক্ষ বাদীর বৃদ্ধ মা ছালেহা বেগম ও মোরশিদা বেগম পেশায় স্কুল শিক্ষিকা উপর বাড়িতে একা পেয়ে হামলা করেন এবং হামলা পরবর্তী বাড়ি থেকে ব্যবহারকৃত স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। এবং কি শ্লীলতাহানি চেষ্টা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন। ঘটনা চলাকালীন বাদীপক্ষ ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে কনকাপৈত পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর আবু তাহের ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজে বাধা দেন।
ঘটনার পর ছালেহা বেগম ও মোরশিদা বেগম চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি চিকিৎসা নেন।
মামলা পড়ে জানা যায় দীর্ঘদিন থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল এই নিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য সালিশি বসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাধান করলেও আসামি পক্ষ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্ত না মেনে জমি ব্যবহার ও স্থাপনা তৈরি করতে চেষ্টা করলে বাদীপক্ষ কুমিল্লা জেলা দায়রা জর্জ আদালতের মামলা করেন। আদালত স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিলেও আসামি পক্ষ জোর পূর্বক পেশীশক্তি ব্যবহার করেন।
বর্তমানে দ্বিতীয় আসামি আবদুল হামিদ ও ইসমাইল হোসেন রাজন প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন এবং লোক মারফত হুমকি দমকি দিচ্ছেন বলেও নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায়।
গিয়াস উদ্দিন (প্রথম আসামি) কে বারবার কল করলেও ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।
রাশেদা আক্তার (বাদী) বলেন বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে গতকাল পর্যন্ত হুমকি দিয়ে আসছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তথা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে অনুরোধ কোন অবস্থায় যেন পালিয়ে বিদেশ যেতে না পারেন।
মামলা তদন্ত কারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানা সাব ইন্সপেক্টর মহিন উদ্দিন বলেন আসামি গ্রেফতারের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
Leave a Reply