লামা বান্দরবান প্রতিনিধি: ১৪ এপ্রিল বান্দরবানের লামা মিরিঞ্জা ভ্যালীর সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের ১টি রাস্তা অর্থনীতির নতুন দ্বার উম্মোচন করে দিতে পারে। ইতোপূর্বে করা মাটির সড়কটি, কার্পেটিং বা এইচবিবি করে দেয়া হলে, নতুন রুপে উদ্ভাসিত হবে সম্ভাবনাময় লামার পর্যটন শিল্প।
পার্বত্য তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে পর্যটন ব্যবসার কারণে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তৈরি হয়েছে বহু মানুষের কর্মসংস্থান।
পৃথিবীর দীর্ঘতম বেলা ভূমি কক্সবাজারের অবস্থান পাহাড়ি এই উপজেলা থেকে মাত্র এক ঘন্টা সময়ের দূরত্বে।
লামায় এমন কিছু পাহাড় রয়েছে, যার চূড়ায় দাঁড়িয়ে কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বিস্তৃত বেলাভূমি দেখা যায়।
নানান বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ভ্রমন পিপাসুরা মিরিঞ্জা ভ্যালীকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।
প্রতিদিন শত শত পর্যটকের আগমন ঘটে মিরিঞ্জায়। আগন্তুকরা নিজস্ব বাহন নিয়ে ভ্যালীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরার ইচ্ছে থাকলেও সে উপযোগী সড়ক নেই।
মোটর সাইকেল নিয়ে কাঁচা রাস্তায় ধূলোবালি মাডিয়ে চলতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে,
লামা-চকোরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা যাত্রী ছাউনি মসজিদ পয়েন্ট থেকে উত্তর-পশ্চিমে ভ্যালীর শেষপ্রান্তে ‘মিরিঞ্জা সানসেট’ পর্যন্ত এঁকেবেঁকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার মাটির রাস্তা রয়েছে।
একই ভ্যালীর রয়াল রিসোর্টের পাশদিয়ে আগারং রিসোর্টকে বাঁদিকে রেখে পূর্ব উত্তরে আরো প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় ইটের সলিন করে দেয়া যেতে পারে।
ইতিমধ্যেই মিরিঞ্জা ভ্যালীর কিছু অংশ বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে।
এখন রাস্তা উন্নয়ন করে দেয়া হলে, সাজেক ভ্যালীকে হার মানাবে, লামা মিরিঞ্জা ভ্যালী।
একই সাথে লামার পর্যটন শিল্পের চ্যালেঞ্জ উৎরিয়ে ব্যাপক সাড়া জাগাবে।
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা লামা ভিজিটকালে এক কথোপকথনে লামার পর্যটন শিল্প উন্নয়নে ইতিবাচক মনোভাব পোষন করেন।
এর কয়েকদিন পর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই লামা-আলীকদম সফরকালে সড়কের মিরিঞ্জা পয়েন্টে রিসোর্ট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে অভ্যার্থনা দেয়।
ওই সময় তিনি মিরিঞ্জা ভ্যালী মাটির সড়কের কিছু অংশ স্বচক্ষে অবলকন করে রাস্তা উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তা কথা তুলে ধরেন।
এর পর বান্দরবান প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ লামা কর্তৃক সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক সার্ভে করে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে প্রেরণ করেন।
লামা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাযায়, তিন দশমিক দেড়শ্ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কের প্রস্তাব দিয়ে সার্ভে রিপোর্টটি গত দু’মাস আগে ঢাকা পাঠানো হয়।
লামা স্থানীয় মানুষ ও শত শত পর্যটকদের প্রাণের দাবি এই সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে দক্ষিণ বান্দরবানে দৃশ্যপট।
এছাড়াও মিরিঞ্জা ভ্যালীর আরেকটি অংশে দুই কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রকৌশল বিভাগ নজরে আনার দাবি জানান হাজারো পর্যটক ও স্থানীয়রা।
পর্যটকদেরকে আকৃষ্ট করতে পাহাড় চূড়ায় শত উদ্যােক্তা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
বিশাল কর্মসংস্থানমূলক যুগোপযোগী এই খাতের বিকাশে সরকারের উন্নয়ন সংস্থাগুলো এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
Leave a Reply