চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় এলজি,গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদক সহ দুই অস্র কারবারিকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে। শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ।
ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ জানান,ধৃত ব্যক্তিদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন থেকে উজিরপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে অস্ত্র,গুলি ও মাদক সরবরাহ করে আসছিল। এ সংক্রান্তে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে
শুক্রবার সকালে উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের মিয়াবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। চৌদ্দগ্রাম সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মঞ্জুরুল হক এবং থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন চাকমার নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি আভিযানিক দল মিয়াবাজারের জগমোহনপুর গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে মো: লোকমান (৪৩) এবং একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন সৈকত (১৯) কে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘর তল্লাশী করে একটি দেশীয় এলজি গান, ৫ রাউন্ড গুলি, ৩ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, ২ হাজার ৫৯ পিস (২,০৫৯ পিস) ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ বোতল বিদেশী মদ এবং ৩ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্বার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্র ও মাদক নির্মূলে সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে সাম্প্রতিক সময়ে যৌথবাহিনী একাধিক সফল অভিযান পরিচালিত করেছে। যা মাদক ও চোরাচালান রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্থানীয়রা এ ধরণের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন। ত াদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply