1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুমিল্লার কারাগারে জুতার ভেতর ৯১ গ্রাম গাঁজা আত্মীয়কে দিতে গিয়ে শান্ত নামের এক যুবক আটক কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের ৪ দিনের রিমান্ড টেলিকম সিন্ডিকেটে অর্থ লোপাট: ৬২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আইওএফ চক্র কালীগঞ্জে বিদ্যুৎ কর্মীদের অবহেলায় প্রাণ গেল শিশুর কুমিল্লা বোর্ডে এবার এসএসসিতে ঝরে পড়েছে ২৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল কেএফসিকে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে ক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর কালীগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও চোলাই মদসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেফতার

কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ১১ নারী ইউএনও

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ১৭ বার

বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার ১৭ উপজেলার ১১ জন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে কর্মরত আছেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই জেলার ১১টি উপজেলা ১১জন নারীর নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের কেউ কেউ আবার বর্তমানে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইউএনওরা ২৪ ঘণ্টায়ই সেবা দেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি কিংবা নারীর প্রতি সহিংসতা হলে তারা সবার আগে মাঠে যান। এখন প্রশাসনিক দায়িত্বের পাশাপাশি তারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের কাজও করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪ ব্যাচের সাহিদা আক্তার। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৪ ব্যাচের ক্ষেমালিকা চাকমা। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের রুবাইয়া খানম। ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই থেকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের সুমাইয়া মমিন। ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের নাজিয়া হোসেন। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৪ ব্যাচের নাঈমা ইসলাম। ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের ফাহরিয়া ইসলাম। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৪ ব্যাচের হ্যাপী দাস। ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৫ ব্যাচের ফাতেমা তুজ জোহরা। ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৬ ব্যাচের মাহমুদা জাহান। সবশেষ ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এই জেলার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন বিসিএস ৩৪ ব্যাচের হিমাদ্রী খীসা।

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করি, তখন মনেই হয় না আমরা নারী নাকি পুরুষ। রাতে দিনে খবর আসলেই কাজে নেমে পড়ি। নারী বলে এখন তেমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় না। তবে বর্তমান সময়ে কাজের চাপ অতিরিক্ত। কারণ রাতে গোমতীর মাটি কাটার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান, দিনে বাজার মনিটরিং, উপজেলা প্রশাসনের কাজ, উপজেলা পরিষদের কাজ, ফ্যামিলি তার ফাঁকে অতিরিক্ত আরও দায়িত্ব। কাজকে উপভোগ করি। প্রফেশনাল জায়গায় থাকলে মানুষের সহযোগিতা পাই।’

এ সময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমি ইমামদের সঙ্গে বৈঠক করি, মসজিদের কাজ পরিদর্শনে যাই, রাতে অভিযান করি। আমার কখনই মনে হয় না আমাকে কেউ অসহযোগিতা করছে। তাই বলাই যায় নারীদের সামাজিক মর্যাদা আগের তুলনায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে।’

হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ‘হোমনা উপজেলার মানুষ সজ্জন। আমি দুই বছর কাজ করে তাদের যা সহযোগিতা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আমি যেখানেই গেছি ইউএনও হিসেবে সবাই দেখেছে। নারী বা পুরুষ এটা দিয়ে কেউ মূল্যায়ন করেনি। মানুষ কার কাছ থেকে সেবা পাচ্ছে সেটা বিষয় নয়। তারা সঠিকভাবে সেবাটা পাচ্ছে কি না তারা শুধু তা-ই চায়। আর আমরাও যখন কাজ করি নারী বা পুরুষ তা মনে থাকে না। আমার লক্ষ্যই থাকে শুধু সেবা।’

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘১৭ উপজেলা ১১ জন নারী দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। কুমিল্লার ১১ উপজেলায় নারী ইউএনওদের পাশাপাশি মনোহরগঞ্জ, ব্রাহ্মণপাড়া, লালমাই, আদর্শ সদর, বুড়িচং উপজেলায় সহকারী কমিশনারও (ভূমি) নারী। কিন্তু আমি নারী বলে কাজে কোন অসহযোগিতা পাইনি। উল্টো কিছু জায়গায় আমি ওনাদের বেশি সিনসিয়ার হিসেবে প্রমাণ পেয়েছি। ১১ জন নারী কর্মকর্তাকে নিয়ে কাজ করছি। পুরুষ ইউএনওদের সঙ্গে তাদের কাজের কোনও ভিন্নতা দেখিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওনারা উপজেলা প্রশাসক, পৌর প্রশাসক, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, উপজেলার স্কুল-কলেজের কমিটির দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের অতিরিক্ত চাপ থাকায় আমরা ধীরে ধীরে কিছু কাজ রিমুভ করছি। কিন্তু দায়িত্বে তাদের কখনোই পিছিয়ে থাকতে দেখিনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews