চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কনকাপৈত ইউনিয়নের আতাকরা হাজী সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার মুলগেইট,অফিস ও শ্রেণীকক্ষের ১৫ টি তালা একাধিকবার কে বা কাহারা তরল জাতীয় গাঁম দিয়ে নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবদুল মোমিন প্রতিষ্ঠানের আশপাশের লোকজনসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ঘটনাটি জানিয়েছেন।এ ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার বাদী হয়ে মঙ্গলবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়রি নং ১৭৪, তারিখ ৪/৩/২০২৫ইং।জিডি সুত্রে জানাগেছে,আতাকরা হাজী সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি গত ২২ ফেব্রুয়ারী দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম শেষকরে সকল শিক্ষক, কর্মচারী নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারী সকালে যথারীতি মাদ্রাসায় এসে দেখাযায় কে বা কাহারা রাত্রির অন্ধকারে মাদ্রাসার ৬টি কক্ষের তালার মধ্যে তরল জাতীয় গাঁম দিয়ে তালাগুলো অকেজো করে রাখে।মাদ্রাসা সুপার আবদুল মোমিন প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য ও সকল শিক্ষক কর্মচারীকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং নষ্ট তালাগুলো পরিবর্তন করে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়। মাহে রমজান উপলক্ষে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবদুল মোমিন ও দপ্তরি মোঃ মোস্তফ কামালসহ সোমবার(৩ফেব্রুয়ারী) দুপুর বেলায় মাদ্রাসায় উপস্হিত হয়ে দাপ্তরিক কাজ শেষে তালা বদ্ধ করে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাই।পর দিন মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) মাদ্রাসা সুপার ও দপ্তরি পুনরায় দাপ্তরিক কাজে সকার ৯টায় মাদ্রাসায় উপস্হিত হয়ে দেখতে পায় প্রতিষ্ঠানের মুল ফটকের তালার ভিতরে কে বা কাহারা তরল জাতীয় গাঁম দিয়ে তালা অকেজো করে রাখে।পরে তারা দুজন মাদ্রাসার পিছনের দিক দিয়ে প্রবেশ করে দেখতে পায় সকল কক্ষের মোট ১৫ টি তালার মধ্যে তরল জাতীয় গাঁম দিয়ে কে বা কাহারা তালাগুলো অকেজো করে রাখে। ওই দিন মাদ্রাসার দাপ্তরিক কাজ করা সম্ভব হয়নি। মাদ্রাসা সুপার বিষয়টি সকল শিক্ষক,কর্মচারী,দাতাসদস্য ও আশপাশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে অবহিত করেন এবং তাদের পরামর্শক্রমে উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
Leave a Reply