শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: এক প্রশ্নপত্রে একসাথে ২৭ টি ভুল ধরা পড়েছে। নীলফামারী পুলিশ লাইন্স একাডেমির অষ্টম শ্রেণির অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার ইংরেজি ২য় পত্রের প্রশ্নপত্রের ক্ষেত্রে এমন হয়েছে।
প্রশ্নপত্রে যেমন বানানগত ভুল রয়েছে, তেমনি অর্থহীন ও বিভ্রান্তিকর বাক্যেরও অভাব ছিল নেই। শব্দগত, ব্যাকরণ ও বাক্য গঠনে গুরুতর অসঙ্গতির এই ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
ওই পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের প্রশ্নের শুরুতেই দেখা যায়: “sucessfull”, “crewl”, “retional”, “prablams”, “upj”, “itrs”, “tible”, “ther”, “hour head master” এসব স্পষ্ট বানান ভুল। এছাড়াও প্রশ্নে রয়েছে ব্যাকরণগত ত্রুটি যেমন: “don’t angry”, “stay to cused” ইত্যাদি, যেগুলোর অর্থ স্পষ্ট নয় ও ভাষাগতভাবে অসংগতিপূর্ণ।
তথ্য অনুযায়ী, প্রশ্নে আরও দেখা গেছে “Robper Bruce”, “form”, “thier”, “in near by forest” এরকম ভুল শব্দচয়ন, যা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেছে এবং ইংরেজি বিষয়ে ভীতি তৈরি করতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র ইংরেজি শিক্ষক বলেন, একটি প্রশ্নপত্রে এতো অধিক সংখ্যক ভুল চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। এমন ভুল শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শেখার আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে।
এ বিষয়ে পুলিশের আওতাধীন একাডেমির অধ্যক্ষ তফায়েল আহম্মেদ জানান, প্রশ্নপত্র প্রণয়নে যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ এতে জড়িত থাকলে, তার বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিভাবকদের বক্তব্য, শুধুমাত্র প্রশ্নকারী নয়, প্রশ্নপত্র যাচাই ও অনুমোদনের দায়িত্বে থাকা সকলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন নেয়। অথচ প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে এ ধরনের গাফিলতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা মনে করেন, এ ধরনের ভুল, শিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এমন ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মৌলিক ভাষাগত দক্ষতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ও একাডেমির চেয়ারম্যান এ.এফ.এম. তারিক হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে আমরা পর্যালোচনা করব। ত্রুটি পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply