শাহজাহান আলী মনন: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৮৮৫ পিস ইয়াবা-টাপেন্টাডলসহ মোছা. রিনা (৩৫) নামে নারী মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (২ জুন) বিকেলে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়ন ধলাগাছ পুলপাড়ায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। রিনা ওই এলাকার মোকছেদুল ইসলাম পারভেজের স্ত্রী। তারা উভয়ই চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা।
সেনাবাহিনীর নীলফামারী ক্যাম্পের মেজর সালমানের নেতৃত্বে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুর রহিমসহ সঙ্গীয় সৈনিকের একটা দল এই অভিযান চালায়। এসময় কথিত সাংবাদিক মোকছেদুল ইসলাম পারভেজের শোয়ার ঘরের একটা ট্রাঙ্কে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৫ পিস ইয়াবা ও ৮৮০ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
অভিযানকালে উল্লেখিত মাদকের সাথে মাদক বিক্রির নগদ ৮ হাজার ৯শ’ টাকাও জব্দ করা হয়েছে। বাড়িতে মাদক রেখে বিক্রির দায়ে পারভেজের স্ত্রী মোছা. রিনাকে আটক করে সৈয়দপুর থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রিনা বলেছে, আমি মাদক বিক্রেতা নই। বরং আমার স্বামী পারভেজ বিয়ের আগে থেকেই মাদকসেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত। তিনিই জব্দকৃত মাদকগুলো বাড়িতে এনে রেখেছিল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পারভেজ ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন থেকে গাজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে আসছে। বাড়িতে মজুদ রেখে বিক্রির পাশাপাশি পারভেজ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে মোবাইল কলে অর্ডার অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে। পুলিশসহ সবাই জানলেও তার সাথে সখ্যতা ও মাসোহারার কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।
তারা আরও বলেন, পারভেজের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন সাংবাদিক পরিচয়ধারী মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে নারী রেখে দেহ ব্যবসা চালায়। তারা থাই জুয়া ও ভিসা প্রতারণা চক্রের সাথেও জড়িত। সেনাবাহিনী রিনা কে আটক করায় ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকার সচেতন মানুষেরা। তারা পারভেজসহ চক্রের অন্যদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে আটককৃত মাদক বিক্রেতা রিনাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং নীলফামারীর জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযানে সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর থানার এস আই আকমল হোসেন।
Leave a Reply