বান্দরবান প্রতিনিধি:- ঝুঁকির মুখে লামা-আলীকদম-চকরিয়া সড়কের ইয়াংসা ভেলী ব্রিজ তামাকবোঝাই ট্রাকের চাপে মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্ত।
লামা-আলীকদম-চকরিয়া সড়কের ইয়াংসা ভেলী ব্রিজটি তামাক বোঝাই ভারি ট্রাকের চাপে ধ্বসের মুখে। এই ব্রিজটি লামা ও আলীকদম উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ব্রিজটি দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ছে—ট্রাক চলাচলের সময় এটি কেঁপে ওঠে, যা যানবাহন চালক ও পথচারীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে ইতিমধ্যে পাশে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্পষ্ট জবাবে এর সমাপ্তির সময় অনিশ্চিত।
– তামাক মৌসুমে প্রতিদিন ২০০–২৫০টি ট্রাক এই সড়ক ব্যবহার করে, যার প্রতিটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ গুণ বেশি মালবোঝাই করা হয়,
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ট্রাকসহ ১০টন সীমা লঙ্ঘন করে দ্বিগুণ ওজনের ট্রাক চলাচল করছে.
– ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও ওজন নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই. স্থানীয় তামাক কোম্পানি, পাথর ও কাঠ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে প্রভাবিত করে অতিরিক্ত মাল পরিবহন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গত কয়েক বছর ধরে ব্রিজটি সংস্কার না হওয়ায় এর কাঠামো ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু
ব্রিজটি ধ্বসে গেলে লামা ও আলীকদমের সাথে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে
-জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, পণ্য সরবরাহ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। স্কুলগামী শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা
তামাক ও অন্যান্য পণ্য পরিবহন বন্ধ হলে স্থানীয় অর্থনীতি বিপর্যস্ত হতে পারে.
– সড়ক ও জনপথ বিভাগের
– নতুন ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ কর
– ট্রাকের ওজন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ ও প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করতেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইয়াংছা ভেলী ব্রিজের সংকট কেবল স্থানীয় নয়, জাতীয় পর্যায়ের মনোযোগ দাবি করে। প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যা মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই সংকট সমাধানে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় এবং জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ জরুর। এই বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোন বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি জানান উক্ত বিষয়ে গত কিছুদিন আগেও আমি ভারি গাড়ি চলাচল না করার জন্য অনুরোধ করছি এখন তারা যদি আমার অনুরোধ না শোনে তাহলে আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিবো বলে জানান, তিনি এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী টোয়েন চাকমা জানান উক্ত বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে ব্রিজ টি যদি এই মুহূর্তে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে এটার দায়ভার উক্ত ঠিকাদারে বহন করিবে।
এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাঈম এর সাথে মুঠোফোন বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনিও একই কথা জানান যে আমরা চেষ্টা করতেছি ওভারলোডিং কোন গাড়ি যাতে চলাচল না হয় সে বিষয়ে ইতিমধ্যে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply