1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুমিল্লার কারাগারে জুতার ভেতর ৯১ গ্রাম গাঁজা আত্মীয়কে দিতে গিয়ে শান্ত নামের এক যুবক আটক কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের কারাদণ্ড সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের ৪ দিনের রিমান্ড টেলিকম সিন্ডিকেটে অর্থ লোপাট: ৬২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আইওএফ চক্র কালীগঞ্জে বিদ্যুৎ কর্মীদের অবহেলায় প্রাণ গেল শিশুর কুমিল্লা বোর্ডে এবার এসএসসিতে ঝরে পড়েছে ২৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল কেএফসিকে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে ক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর কালীগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও চোলাই মদসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেফতার

গরিবের ন্যায় বিচার হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭৯ বার

মীর হোসেন মোল্লা(আরমান): সমাজ তৈরি হয় ন্যায়ের মধ্য দিয়ে। ঘরের মধ্যে, সমাজের মধ্যে ন্যায়বিচার হচ্ছে কিনা, ধনী দেশের সঙ্গে সম্পর্কে গরিবের ন্যায় বিচার হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। সেই বিচারের মধ্য দিয়েই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়।
অপরাধ সেটা যেখানেই হোক আর যে দেশেই হোক, মানুষ যেন বিচার প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিতে পারে সেই ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার দিবস। ১৭ জুলাই, আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার দিবস।

মানবতাবিরোধী অপরাধসহ যে কোন ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে দেশে দেশে দিবসটি পালিত হয়। একটি স্বাধীন দেশের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হওয়া আবশ্যক। দেশের প্রতিটি মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়া তার নাগরিক অধিকার। এই ন্যায় বিচারের অধিকার নিশ্চিত করাই এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য।

বিশ্বের নানা স্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোকে যেন বিচার প্রক্রিয়ায় সম্মুখীন করা যায়। সে জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এই বিশেষ আদালতটির সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। তবে যেকোনো দেশেই এই আদালতের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। বিশ্বব্যাপী সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধগুলোর বিচার প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতে বিশ্বের অনেক দেশেই বিচ্ছিন্নভাবে নানা রকমের আন্দোলন হয়েছে। তবে এ ধরনের বিচার প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা মোটেই সহজ ছিল না।
ন্যায় বিচারের একটা বড় উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্র সীমা বিরোধ ও বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সমুদ্র সীমা বিরোধের রায়। নেদারল্যান্ডসের হেগের সালিশি আদালতের রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়। এই রায়ে বাংলাদেশ ন্যায্য পাওনা বুঝে পায়। এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল বাংলাদেশ।

আসলে ন্যায় বিচার একটি আপেক্ষিক বিষয়। দেশ, কাল হিসেবে ন্যায় বিচার ভিন্ন। এমনকি অনেক সময় বিচার করলেও তা কার্যকর করা যায় না। সেক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলা যায় না। ন্যায় বিচার হতে পারে পানির জন্য, শিক্ষার জন্য, সমঅধিকারের জন্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ে।
দৃশ্যমান বিচারের বাইরেও একটা বিচার আছে। সেখানে মৌলিক ন্যায় বিচার করতে পারছেন কিনা সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য ন্যায় বিচার করা সম্ভব না হলে সিস্টেম বদলাতে হবে। শ্রেণিভেদে সবার ন্যায় বিচার নিশ্চিত হোক আজকের দিনে এই প্রত্যাশা সবার। লেখকঃ মীর হোসেন মোল্লা(আরমান)/পরিচালক-মানবাধিকার জোট।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews