1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দূর্ঘটনায় আহত হওয়া সাবেক ইউ/পি চেয়ারম্যান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতুবরণ নাঙ্গলকোটে শিকল দিয়ে হাত–পা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ–নির্যাতন, মামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জায়গা দখল করে মহানগর আওয়ামী লীগের অফিস! মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ধারালো অস্ত্রসহ আটক ৩ কালীগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ৩০ জন আহত ফিলিস্তিনি মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও র‍্যালি যেসব শর্ত না মানলে নিয়োগ হবে না ওসি শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন উল্লাপাড়ায় জামায়েত কর্মীর হামলায় বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব গুরুতর আহত সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না : গোলাম পরওয়ার

পেঁয়াজের দাম নিয়ে সুখবর

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬০ বার

হাট-বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম একেবারেই কমে গেছে। এতে ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের মনে খুশির জোয়ার বয়ে গেলেও কষ্টে রয়েছেন পেঁয়াজ চাষি এবং মজুদ করে রাখা ব্যবসায়ীরা। দেড় সপ্তাহ আগে প্রতি মণ পেঁয়াজ ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে।

পাইকারি পেঁয়াজ ক্রেতারা বলছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরো দাম কমে যেতে পারে। যার কারণে পুরোনো পেঁয়াজ মজুদকারীরা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।
আজ সকালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর পাইকার হাট লাঙ্গলবাঁধ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমণ নতুন পেঁয়াজ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও পুরোনো পেঁয়াজ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত হাটেও ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা আর পুরোনো পেঁয়াজ ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, এবার ৫ কাঠা জমিতে মুড়ি পেঁয়াজ আবাদ করে প্রায় ১৮ মণ পেঁয়াজ পেয়েছেন তিনি।
ভেবেছিলেন প্রতিমণ ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। তবে দাম যত দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে।
পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা রবিউল মিয়া নামের আরেক কৃষক বলেন, চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রোপণ করা মুড়িকাটা পেঁয়াজ একদফা নষ্ট হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় দফায় বাড়তি মূল্যে পেঁয়াজের বীজ কিনে রোপণ করতে হয়েছে।
এতে এ মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রায় দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। বর্তমানে মাঠ থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এ সময় বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। এতে বাজারে পেঁয়াজের বড় দরপতন হয়েছে।
পেঁয়াজ মজুদকারীর ইখলাছুর রহমান বলেন, পুরোনো পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশায় ৬ মাস আগে মণপ্রতি ২ হাজার ৫০০ ও ৩ হাজার টাকা দরে ৩০ মন পেঁয়াজ কিনে রেখেছেন।কিন্তু হঠাৎ সরকার বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় দাম অর্ধেকের বেশি নেমে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। পেঁয়াজের দাম না বাড়লে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তিনি। খুলনার দৌলতপুর এলাকা থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল গফুর বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় আগামী সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আরো কমে যেতে পারে। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায় বলেন, চাহিদার ঘাটতির কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম কখনো কখনো অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। বাজারে একেতো নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠেছে, তার ওপর আবার আমদানিকৃত পেঁয়াজও বাজারে ঢুকছে নিয়মিত। ফলে এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে চাষিরা এ বছর নতুন পেঁয়াজের দামে মোটেও খুশি হতে পারছেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews