আবু রায়হান আলী: উলিপুরের আয়নাল হকের ছেলে হাসানের জীবনি এক করুন দৃশ্য বিরাজমান। জীবনের কাছে হার মানেনি হাসান, সমাজ ও রাস্টের কাছে অবহেলার শিকার তিনি। হাসান জন্মগত ভাবেই চক্ষু প্রতিবন্ধী,নুরপুর তেতুলতলা আতরজান নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে মাদ্রাসার সহপাঠি ও হুজুরের কাছ থেকে শুনে শুনে ২০১৮ সালে হেফজ পাশ করেন। হাসান স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে দূরবিসহ ভাবে জীবন জাপন করছেন, হাসান আই ওয়ান টেলিভিশনকে জানান আমার মতো আমার ছেলটিও জন্মগত ভাবেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধি, হাসান তার ছেলের এক বছর বয়স কালে একটি চক্ষু অপারেশন করান, অপারেশনের তিন থেকে চার মাস পর অপর চক্ষুটিও অপারেশন করান তিনি। অপারেশন ও ঔষধ বাবদ ব্যায় হয় ৪০থেকে ৫০হাজার টাকা। সম্পূর্ন টাকা ঋণ নেয় হাসান,পরিবার কে চালানোতো দূরের কথা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে খাচ্ছে হিমসিম তিনি। তাই সংসার চালানোর জন্য সরকারি রাস্তার পাশে ছোট্ট পরিসরের একটি দোকান দিয়েছেন তিনি। দোকান থেকে যে আয় আসে তাই দিয়ে টেনে হিচরে সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু ঋণের বোঝা মাথায় থেকেই যায় তার। হাসান বলেন সরকারি ভাবে আমাকে ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে প্রতিবন্ধী ভাতা ও চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়, তাহলে পরিবার নিয়ে একটু হলেও সুখে থাকবো।সরকারের কাছে এই টুকু সহযোগিতা চাই।
Leave a Reply