ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি
বুধবার২৩ জুলাই সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের রানাই গ্রামের আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা আব্দুল গনি শশুর ওমর আলী শেখ আইন কে তক্কা না করে সকালে থেকে ১৫/১৬ কাঠ কাটা কাঠুরিয়া এনে ওমর আলী শেখের নির্দেশে সরকারি রাস্তার উপর থাকা লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কাটাসহ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় রানাই গ্রামের আতিয়ার মোল্লা, মতোআলি সরদার, রফিকুল ইসলাম সরদারসহ আরো অনেকে জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত গত ২০ফেরুয়ারী ২০২১ সালে ভোর রাতে ওমর আলী, গাছ কাটলে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কাটা গাছ জব্দ করে ডুমুরিয়া ভূমি অফিসের সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ও খাজাকেদিয়ে জমি মেপে সরকারি রাস্তার উপর থাকা গাছ কাটা বন্ধ থাকায় গত ৫ আগস্টের পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে খর্নিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবুল হোসেনকে ধরে গাছ কাটার জন্য বিভিন্ন ভাবে তদবির চালায় জামায়াত নেতা আবুল হোসেন সাংবাদিকে জানান টিপনা গ্রামের জামায়াতের কর্মী শেখ এনামুল হক রাস্তার ওপর থেকে অবৈধ ভাবে গাছ কাটা ওমর আলীর আত্মীয় হয় সে কারণে উপজেলা সহ বিভিন্ন জামাতের নেতারা সরকারি অবৈধ গাছ কাটার তদবিদ চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য বুধবার জোরপূর্বক কাটুরি নিয়ে গাছ কাটতে শুরু করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আলা আমিন টের পেলে খর্নিয়া ইউনিয়নের শোভনা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান কে গাছ না কাটার নির্দেশ দিলে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়, এবং ওই গাছ জব্দ করে তার হেফাজতে রাখে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাছ কাটা ওই গাছ নেওয়া বন্ধ থাকবে ।
এব্যাপারে ওমর আলী শেখের নিকট সরকারি রাস্তার উপর গাছ কাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঐ গাছ আমার লাগানো ,আমি বুঝতে পারনি সরকারি যায়গায় রপন করা যায় কিন্তু ছদন করা যায় না।
রানাই গ্রামের মৃত মৃত্যু মোঃ জামির আলি শেখর ছেলে ওমর আলী শেখ কয়েক দফায় মেহগনি, সিরিজ, বিভিন্ন গাছসহ আরো অনেক প্রকার গাছ কেটে উজাড় করে ফেলেছে ।এর ফলে রাস্তার দু-ধারে শুধু ফাঁকা আর ফাঁকা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন আমি রাস্তার গাছ কাটার সংবাদ শুনে সাথে সাথে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কে নির্দেশ দিলে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়াছি। অতিসত্বর তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান বলেন আমাকে ইউ এন ওস্যার মুঠো ফোনে রানাই গ্রামের জৈনক ওমর আলী সরকারি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন জাতের গাছ কাটলে আমি নিশেদ করে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়াছি।এরং কাটা গাছ জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু আমি চলে আসার পর আবাও গাছ কাটা শুরু করেছে।
ইউ এন ও সারের কথা অমান্য করার ফল এবার দেখতে পারেন।
এব্যাপারে এলাকাবাসী জানান, গাছকাটার সাথে তিনজন ব্যাক্তি জড়িত । এদের সবার বাড়ী উপজেলার রানাই এলাকায় । তবে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলেন,সামাজিক বন কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই চলছে রমারমা এসব গাছকাটা বানিজ্য ।
কিছু কতিপয় অসাধু ব্যাক্তিরা সরকরি গাছ কেটে সবুজ বাগান উজাড় করছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকার সচেতন মহল জোর দাবি জানান।।
Leave a Reply