1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নাগেশ্বরীতে পৌর বিএনপি’র পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে সাপ্তাহিব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন লালবাগে চলমান মামলার মধ্যেই জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ, কাঁচা মাংস খেয়ে আলোচনায় ইদু এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সিরাজগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৩ শহিদের নামে মুক্তির সোপানে ১৩টি বৃক্ষ রোপন চৌদ্দগ্রামে ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন: নওগাঁর ধামইরহাটে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হাসপাতালে জামায়াত আমিরের পাশে বিএনপি মহাসচিব চৌদ্দগ্রামে ভুয়া র‌্যাব অফিসার পরিচয় দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত আর্মিকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ কালীগঞ্জে শ্রমিক কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

আপনেরা কি পারবেন, আমার পুতেরে ফিরাইয়া দিতে

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
  • ৫৩ বার

আ: রহিম গাজী/ রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : কত মানুষ দেহি। আমার পুতেরে দেহিনা। পুত তো নাই! আপনেরা কি পারবেন আমার পুতেরে ফিরাইয়া দিতে। নিজের ভাষায় এমনই উক্তি, জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া জামাল ভুঁইয়ার মা মেহের জানের।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে খাসমহল গ্রামের মৃত হারু ভুঁইয়ার ছেলে জামাল ভুঁইয়া। তিন ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ। নারায়ণগঞ্জের ঝালকুড়ি এলাকায় তরকারীর দোকান দিত। গত ১৯ জুলাই ফ্যাসিষ্ট বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন জামাল।
প্রতক্ষদর্শী জামালের ভগ্নীপতি বাবু হাওলাদার জানান, গত প্রায় ১২ বছর ধরে জামাল নারায়ণগঞ্জের ঝালকুড়ি এলাকায় তরকারী ও মুরগীর দোকান করতো। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছিল খুব উৎসাহী। শুরু থেকে সে আন্দোলনকারীদের উৎসাহ দিত। গত ১৯ জুলাই বিকালে ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময় পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। জামাল তখন আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাতে দোকানের সামনে রাস্তায় নেমে স্ত্রী মানছুরা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকেন। তখন কেউই জানতোনা, এই কথাই হবে তাদের শেষ কথা। ঠিক ওই মুহুর্তে পুলিশের গুলি এসে জামালের দুই উরু ভেদ করে বের হয়ে যায়। বাবু হাওলাদার আরও বলেন, কি অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছে তা আমি জানেনা। তবে, গুলি এসে দু উরুর গোস্ত ছিরে, বিরাট গর্ত করে, যেভাবে অপর দিক দিয়ে বের হয়ে গেছে, তাতে মনে হয় বড় ধরনের কোন অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে। শুরু হয় রক্তক্ষরন। দিশেহারা হয়ে যাই। কোন উপায় ছিলনা। কিছুক্ষন পর গোলাগোলির শব্দ একটু কমলে জামালকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই শহীদ হন জামাল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জামালের শরীর থেকে সব রক্ত ঝরে গিয়েছিল বলেও জানান বাবু হাওলাদার। জামালের লাশ নিজ বাড়ি মৌডুবীতে এনে পারিবারিক ভাবে দাফন করা হয়।
১০ মাস গত হলেও,সন্তান হারা মায়ের আর্তনাদ যেন থামছেইনা। চোখের পানি শুকায় না মায়ের। কিছু বলতে পারেননা ওই মা।
অপর দিকে ১ বছর ৩ মাস বয়সী শিশু পুত্র আবদুল্লাহকে কোলে নিয়ে কান্না জরিত কন্ঠে জামালের স্ত্রী মানছুরা বেগম বলেন, ১০ মাস আগে আবদুল্লাহর বয়স ছিল ৫ মাস। তখন ওর বাবা শহীদ হন। এখন ওর বয়স ১ বছর ৩ মাস। ওর ভবিষ্যত কি, কে নিবে এই শিশুর দায়ীত্ব? কিছু বুঝিনা। স্বামী হত্যার বিচার চাই।
সরকারি অনুদান পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে মানছুরা বলেন, হ্যাঁ! ভালই পেয়েছি, কিন্তু স্বামীকেতো পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইকবাল হাসান বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদ ঝামাল ভূইঁয়ার বাড়ি আমি গিয়েছে এবং ঈদ উপহার দিয়ে এসেছি এ ছাড়াও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অনুদান তাদের পরিবারের দেওয়া হয়েছে।
তবে সকল অনুদান, আশ্বাস আর সান্ত্বনার পরে ও এক পিতাহীন শিশুর চোখে, আর এক সন্তানের হারানো মায়ের থেকে যায় শুধুই হাহাকার।
##
আ: রহিম গাজী
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী ) সংবাদদাতা :
মোবাইল ০১৬০৯৬৯৫৪৩৭

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews