শাহজাহান আলী মনন/ নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন টুনিরহাটে এলজিইডি প্রভাতী প্রকল্পের অধীনে বাজার নির্মাণের জন্য রাস্তা সংষ্কার কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন বৃদ্ধির জন্য গৃহীত এই স্কিমের প্রথম থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ১৩ জুন শুরু করা হয় এই প্রকল্পের কাজ। পরের বছর ১২ জুন সমাপ্ত করার লক্ষ্যে তিনটি গ্রুপে একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে। অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন বৃদ্ধির জন্য স্কিম তিনটি বরাদ্দ হয়। প্রথম গ্রুপে ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৯৩ টাকা, দ্বিতীয় গ্রুপে ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩১ এবং তৃতীয় গ্রুপে আরও ২৬ লকাখ ৬০ হাজার ৬৭৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রুপের ব্যাপক অনিয়ম করে আংশিক কিছু কাজ দেখিয়ে বিগত সরকারের আমলে বরাদ্দের টাকা এলসিএস সদস্যদের ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়। বিগত সরকার পতনের পর চলমান কাজ স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমান অর্ন্তবর্তী কালীন সরকার কাজটি শেষ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। গত কয়েকদিন থেকে কাজ চলমান আছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় পুরাতন ভাঙ্গা নোংরা ও নিম্ন মানের ইট দিয়ে আরসিসি রাস্তার সলিং ১-২ ইঞ্চি ফাঁকা গ্যাপ দিয়ে কাজ করছে মিস্ত্রি বিভূতি লাল। ভাঙ্গা ও পুরাতন ইটের কাজ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যারের সাথে কথা বলেন।
তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে প্রভাতী প্রকল্পের এলসিএস মনিটরিং এন্ড লাইভলিহুড অফিসার মেহেদী ফাহাদ বিন আজাদ (সবুজ) এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পের অর্ডারে আছে পুরাতন ইট উপরে দিয়ে কাজ করা। আর নতুন ইট নিচে সলিং দেওয়ার কিন্তু উপরে পুরাতন ইট দিলে দেখতে খারাপ লাগবে তাই আমি পুরাতন ভাঙ্গা ইট নিচে দিচ্ছি উপরে নতুন ইট দিলে ফিনিশিং ভালো হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলামের সাথে অফিসে কথা বলতে গেলে অফিসে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। একারণে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সিডিউলে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে ১ নং ইট, পিকেট ইট দিয়ে কাজ করার কথা। অথচ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা অপরিস্কার ভাঙ্গা ও ২ নম্বর ইট দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান বুলু বলেন, কাজের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, তবে এলাকাবাসী অনেকেই আমাকে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ করতেছেন।
Leave a Reply