পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ পাবনা জেলার চাটমোহর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায় যে, বড়াল নদীর কূল থেকে মাত্র ৫ মাস বয়সী এক কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকাবাসী এবং পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, অল্প সময়ের মধ্যে শিশুটির সঙ্গে এমন কিছু ঘটেছে, যাতে তার মৃত্যু হয়েছে। আর শিশুটির বাবা এ ঘটনাকে হত্যাকান্ড হিসেবেই দেখছেন। তার মতে, হত্যার পর লাশ নদীর কূলে ফেলে রাখা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর মণ্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি হচ্ছে- মণ্ডলপাড়া গ্রামেরই বাসিন্দা কমল মণ্ডলের মেয়ে, তার নাম সোহাগী। সোহাগী তার মায়ের একমাত্র মেয়ে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর কমল মন্ডল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান রয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে মাত্র ৫ মাস বয়সী অবুঝ আর নিষ্পাপ একটা শিশুর লাশ উদ্ধার নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুটির মৃত্যুর কারণ কী- তার পরিবারের সঙ্গে কারো শত্রুতা না ক্ষোভ? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। কিন্তু এখনো ঘটনার প্রকৃত কারণ শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
সোহাগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর ভাষ্য হচ্ছে- সকাল ৬টার দিকে শিশুটিকে ঘুম ‘পাড়িয়ে’ বারান্দায় রেখে বাইরে বের হয় তার মা, গরুকে খাবার দেওয়ার জন্য। এর কিছুক্ষণ পর ফিরে দেখেন- তার মেয়েটি বারান্দায় নেই, এমনকি কারো কাছেই নেই। এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে ৭টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়। লাশটি নদীর কূলে দেখতে পায় এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। কারণ এখনো জানা যায়নি, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান। মানবাধিকার সংগঠন গ্রিনপিস বাংলা,
পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ বলেন যে, দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে খুন ধর্ষণ অপরাধ প্রবণতা বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
মানবাধিকার এখন চরম পর্যায় বিপর্যস্থ! সকলের বিবেক বোধকে জাগ্রত এগিয়ে আসতে হবে সচেতনতা গড়তে।কারণ দেশটা কোন দলের নয়, কোন ব্যক্তির, কোন গোষ্ঠীর নয়!
সকলেই স্ব-স্ব অবস্থানে দায়িত্বশীল হতে হবে।
Leave a Reply