ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,জানা যায়,২৬ মে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা নাগাদ সেক্টর ২৭-এর একটি ফাঁকা জমির সামনে পার্ক করা একটি গাড়ি থেকে প্রবীণ মিত্তল (৪২), তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান (এক ছেলে ও দুই মেয়ে) এবং প্রবীণের বৃদ্ধ বাবা-মাকে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে পাওয়া যায়।পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশে খবর দেন।পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সাতজনকে ২৬ নম্বর সেক্টরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।প্রবীণ ছাড়া পরিবারের বাকি সব সদস্যকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।প্রবীণকে ৬ নম্বর সেক্টরের একটি সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হলে সেখানে তিনিও মারা যান।তাঁরা সবাই বিষপান করেছিলেন বলে জানান চিকিৎসক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পঞ্চকুলার ডিসিপি হিমান্দ্রি কৌশিক ও ডিসিপি ক্রাইম অমিত দাহিয়া। সিন অফ ক্রাইম টিম ও এসএফএল টিমও ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।বেসরকারি হাসপাতালে পার্ক করা মৃত পরিবারের উত্তরাখণ্ডের নম্বর গাড়িটিও খতিয়ে দেখেন তারা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এই ঘটনাটিকে গণআত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।তদন্তে নেমে গাড়ি থেকে শিশুদের স্কুল ব্যাগ, খাদ্যদ্রব্য, জামাকাপড়সহ অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম পরিবেশিত খবরে জানা গেছে,এই পরিবারটি পঞ্চকুলায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত।পরিবারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, প্রবীণ মিত্তলের পরিবারের বিপুল ঋণ ছিল। কিছুদিন আগে তিনি দেরাদুনে ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস ব্যবসা শুরু করেছিলেন।তাতেও তাদের লোকসান হয়েছিল।ঋণের ভারে জর্জরিত হয়েই পরিবারটি এত বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এই ঘটনা নিয়ে ডিসিপি হিমাদ্রি কৌশিক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তদন্তে নেমেছে পুলিশের একটি দল।
সূত্র:- হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভি।
Leave a Reply