মীর হোসেন মোল্লা: গতকাল ৩রা মে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান শেষে এ প্রতিবেদকের সাথে এক আলাপচারিতায় কথার কথায় উঠে আসে চৌদ্দগ্রামের আলোচনা। এক পর্যায়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, কামরুলের বিকল্প চৌদ্দগ্রামে আমাদের কোন প্রার্থী নেই। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র দায়িত্বশীল কামরুল অত্যন্ত ভালো ছেলে। তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। আমরা খোজখবর নিয়ে দেখেছি এলাকার মানুষও তাকে নেতৃত্বে দেখতে চায়। আগামীতে চৌদ্দগ্রাম আসন থেকে কামরুলকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। দলের বাইরে কোন প্রার্থীকে নিয়ে আপতত দেখছি না। তাছাড়া কামরুল মামলা হামলায় নির্যাতিত নিপীড়িত একজন ব্যক্তি। সে অত্যন্ত ভালো ছেলে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন- দলের জন্য এবং নেতাকর্মীদের জন্য কামরুলের যথেষ্ট অবদান আছে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে উল্লেখিত কথাগুলো প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম গত ২১ এপ্রিল সোমবার একটি টকশো অনুষ্ঠানে চৌদ্দগ্রামের রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন, আগামীতে যদি জামায়াত ইসলামীর সাথে বিএনপি জোট না হয়, তাহলে চৌদ্দগ্রাম আসনে ধানের শীষের বিএনপি জয়লাভ করবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিকাল থেকে কামরুল হুদা নেতাকর্মীদের নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মামলা- হামলা, হয়রানী- নির্যাতনের ষ্ট্রীম রুলারে পিষ্ট হয়ে- ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে সুসংগঠিত করার টার্গেটে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপিকে নিয়ে ধীরে ধীরে এখন বিজয়ের লক্ষ্যস্থানে পৌঁছেছেন। তাছাড়া দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি এখন চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। কামরুল হুদার পরিচালনাধীন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সাংগঠনিকভাবে এখন শক্ত অবস্থানে এবং সক্রিয় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানিয়েছেন।
Leave a Reply