1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে বোনের সম্পত্তি না দিয়ে পুরো সম্পত্তি বউয়ের নামে দলীল দেয়ার অভিযোগ রাজশাহী ৫ আসনে ভোটারদের নজর কেড়েছেন আব্দুস সাত্তার হিলিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সাড়ে ৫ টন চাল জব্দ দ্রব্যমূল্যের দাম ও ন্যায্য পারিশ্রমিক না মিলায় ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে কোম্পানিগঞ্জে এম সাইফুর রহমান কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হলেন মিফতাহ্ সিদ্দিকী চাটমোহর পাবনার মাসুদের কৃতিত্ব তৃতীয় হয়েও মাসুদ আমাদের আসল বিজয়ী! পাবনা জেলার সুনামধন্য কথাসাহিত্যিক আবদুল মান্নান সরকার দ্রব্যমূল্যের দাম ও ন্যায্য পারিশ্রমিক না মিলায় ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে ভোলার তজুমদ্দিনে সন্ত্রাসী গফুর বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে দুই জন এখনো সক্রিয় মাদকের সিন্ডিকেট!

দ্রব্যমূল্যের দাম ও ন্যায্য পারিশ্রমিক না মিলায় ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪০ বার

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রাম, যা একসময় হস্ত চালিত তাঁত শিল্পের জন্য সুপরিচিত থাকলেও এখন নীরবতা বিরাজ করছে । ১৪শত তাঁতি পরিবারের এই গ্রামটিতে একসময় প্রতিটি বাড়িতেই ছিল ৩ থেকে ৪টি করে তাঁত । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁতের খটখটি শব্দে মুখরিত থাকত পুরো গ্রাম । তবে কালের বিবর্তনে, সুতা সহ দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে ঐতিহ্যবাহী এই তাঁত শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে । তাঁতের খটখটি শব্দে মুখরিত গ্রামটিতে এখন ৪ থেকে ৫ বাড়ি পর পর দেখা মিলছে ১ টি করে তাঁত । আর্থিক অনটনের কারণে বহু তাঁতি তাদের পৈতৃক এই পেশা ছেড়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ, ভ্যান চালানো সহ বিভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন । অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, একজন তাঁতি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করে দিনে আয় করছেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ।

সোন্দাহ গ্রামের তাঁতিদের সাথে কথা বলে জানা যায় , সুতা সহ অন্যান্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে নিজেদের পুঁজি হারিয়ে বর্তমানে মহাজনের পুঁজিতে লুঙ্গি, গামছা ও রুমাল তৈরি করছেন তারা । মহাজনের দেওয়া বিম ও সুতা নিয়ে কাজ করে প্রতি হাত লুঙ্গি, গামছা অথবা রুমাল তৈরি করে পাচ্ছেন ৫ টাকা । প্রতিদিন ৩০ হাত লুঙ্গি, গামছা অথবা রুমাল বুনে আয় করেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা । কেউ কেউ সপ্তাহে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকাও আয় করে থাকেন । দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের । নিম্ন আয়ে সংসার চালাতে না পেরে অনেকেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন পৈতৃক এই পেশা ।

তাঁত শ্রমিক টিপু সুলতান জানান, ছোট থেকেই তিনি তাঁতের কাজ করছেন । ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করে আয় করেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা । অপরদিকে তার স্ত্রী নলিতে সুতা ভরে দিনে আয় করেন ৩০ থেকে ৫০ টাকা । আগে এই কাজ করে ভালোমত সংসার চালাতে পারলেও বর্তমানে কোন রকম খেয়ে পড়ে জীবনযাপন করছেন তারা । ছোটবেলা থেকেই তিনি তাঁতের কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় এখন অন্য কোন কাজ করতে পারেন না বলে জানান তিনি ।

আরেকজন তাঁত শ্রমিক রবিউল ইসলাম জানান, সোন্দাহ গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে একসময় ৩ থেকে ৪ টা করে তাঁত থাকলে এখন আর তা নেই । সুতা সহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেকেই পুঁজি হারিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁতের কাজে ব্যস্ত থাকা গ্রামটিতে এখন ৫০টি তাঁত খুজে পাওয়া যাবে না ।

তিনি আরও জানান, অন্যান্য পেশায় দিনে ৫০০ টাকা আয় হলেও তাঁতিরা দিনে আয় করেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা । তাদের তৈরি গামছা, লুঙ্গি, রুমাল বাজারে চড়া দামে বিক্রি হলেও তারা ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না । সুতা ও অন্যান্য উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, উৎপাদিত বস্ত্রের ন্যায্য দাম না পাওয়া এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিতে না পারায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী হস্ত চালিত তাঁত শিল্প । সরকারি সহযোগিতা এবং সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পেলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব মন্তব্য করেন তিনি ।

কুমারখালী বিসিক শিল্পের এজিএম মেহেদী হাসান জানান, ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকার তাঁতিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সহ ৫% মুনাফায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করেন । ইতি মধ্যে অনেকে ঋণ পেয়েছেন এবং আগামীতে সরকারীভাবে তাঁতিরা সহজ শর্তে রং, সুতা সহ নানা উপকরণ পাবেন বলে জানান তিনি ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews