সংবাদদাতা: কুমিল্লার মেঘনায় আওয়ামী লীগের নেতা জহিরুলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী। রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে নিউ মার্কেট এর চতুর্থ তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানান শামছুল আলম সুমন নামে এক ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী শামছুল আলম সুমন (৪০) কুমিল্লার মেঘনা থানাধীন ৬নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সোনারচর এলাকার মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগে সুমন জানান- তিনি একজন সৌদি আরব প্রবাসী। প্রায় দুই বছর আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে পরিবার নিয়ে মেঘনার সোনারচর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন তিনি। ভুক্তভোগী সুমন জানান- গত ২৮ জানুয়ারী তার ফুফাতো ভাই মোহাম্মদ বশীর উল- আলম এর নিকট হতে ১২৫৪ দাগে অর্থাৎ হালে ২৬৬০ এর ১৬ শতক জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয় তিনি। অন্যদিকে তার বাবা মৃত মমতাজ উদ্দিন এর একমাত্র ছেলে সন্তান হিসেবে পৈত্রিক সূত্রে ১২৭৮ দাগে অর্থাৎ হালে ২৫৮১ এর ২৩ শতক ও ১৪৫১ দাগের অর্থাৎ হালে ২৬৫৮ এর ৮ শতক জমির মালিক হন তিনি। কিন্তু তার বাবা কিছুদিন আগে সৌদি আরবে হজ্জ্বে গিয়ে ইন্তেকালের পর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শম বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খন্দকার (৫০) আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। উক্ত চাঁদার টাকা আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে আমাকে এলাকায় বসবাস করতে দেবে না বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে হুমকি ধামকি দেয়। গত ৫ আগষ্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলামের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম এখনো বন্ধ হয়নি। এই নেতা এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে এখনো আটক করেননি। এলাকার আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দালাল এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক মেঘনার সোনারচর এলাকার ছাত্তার বেপারীর ছেলে আলমঙ্গীর হোসেন (৪০), মৃত সুন্দর মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০), মৃত কালাইয়ের ছেলে আমির হোসেন (৪৮), শুক্কুর আলীর ছেলে কফিল উদ্দিন (৫০) ও মৃত নান্নু পাঠানের ছেলে মাজহারুল পাঠান (৫২) গত এক সপ্তাহ আগে সেই চাঁদার টাকার জন্য আবারো চাপ দেয়। আমি তাতেও কোন সাড়া না দেওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আমার জমি দখলের পায়তারা করে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ওই ভুক্তভোগী।
Leave a Reply