মোঃ শফিকুল ইসলাম/ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় মারমা ভাষায় শিক্ষাদান কার্যক্রমের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। স্থানীয় মারমা সম্প্রদায়ের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা এবং বিকাশের লক্ষ্যে গত ২৯ এপ্রিল ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ছোটপাড়া এলাকায় জীনামেজু সানজে স্কুলের ভবন উদ্বোধন করা হয়।
এই উদ্যোগে মারমা শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাঙালিসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের জন্যও শিক্ষার সুযোগ রাখা হয়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্কুলটির ভবন উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, “মাতৃভাষায় শিক্ষা শিশুদের মৌলিক জ্ঞান অর্জনকে সহজ করে এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়কে শক্তিশালী করে। মারমা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় এই উদ্যোগ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি আরও জানান, স্কুলটিতে মারমা ভাষার পাশাপাশি বাংলা মাধ্যমের শিক্ষাও চালু করা হবে, যাতে সব সম্প্রদায়ের শিশুরা একই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভ করতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আপ্রুচিং মার্মা এই উদ্যোগকে ঐতিহ্য সংরক্ষণের মাইলফলক আখ্যায়িত করে বলেন, “মারমা ভাষা আজ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে।
এই স্কুল আমাদের প্রজন্মকে তাদের শেকড়ের সাথে যুক্ত রাখবে ।
মারমা ভাষার ঐতিহ্য ও চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে মারমারা দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যাদের মূল বসতি বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ।
মারমা ভাষা বার্মিজ ভাষার একটি উপভাষা এবং এর নিজস্ব বর্ণমালা মর্যাদা রয়েছে ।
তবে আধুনিক শিক্ষা ও বাংলা ভাষার প্রভাবে মারমা ভাষার ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে। উঃ নন্দমালা জীনামেজু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা উঃ নন্দমালা মহাথেরো ভান্তে বলেন, এই স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা মারমা।
Leave a Reply