চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে “মাইকে ‘ডাকাত’ ঘোষনা দিয়ে বিজিবি’র উপর হামলার চেষ্টা” শিরোনামে গত ১৯ এপ্রিল কয়েকটি মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ ও বিজিবি কর্তৃক থানায় দায়েরকৃত মামলায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এলাকার নিরীহ লোকজনকে আসামী করার প্রতিবাদে ভুক্তভোগিরা সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ সময় ভুক্তভোগিদের পরিবারের সদস্যরা সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ এক হোটেল হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগি আলেয়া বেগম ও এনামুল হক খোকন। বক্তব্যে তারা বলেন, গত ১৭ এপ্রিল রাতে উপজেলার আমানগন্ডা-শালুকিয়া এলাকায় স্থানীয় কতিপয় মাদক কারবারি মাইকে ‘ডাকাত’ ঘোষনা দিয়ে বিজিবি’র উপর হামলার চেষ্টা করে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনার পরদিন বিজিবি কর্তৃক এলাকার অনেকের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আমাদেরকে আসামী করা হয়। এছাড়াও একই ঘটনার আলোকে গত ১৯ এপ্রিল দেশের কয়েকটি পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে অন্যদের সাথে আমাদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মূলত: ঐদিন রাতে বিজিবি উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা-শালুকিয়া এলাকায় মাদক পাচারকালে স্থানীয় মাদক কারবারিদের ধাওয়া করে বলে আমরা লোক মারফত জানতে পেরেছি। পরে স্থানীয়দের কেউ নাকি মাইকে ‘ডাকাত’ ঘোষনা দিয়ে বিজিবি’র উপর হামলা করার চেষ্টা করে। প্রকৃতপক্ষে এ ঘটনার সাথে আমাদের ন্যূনতম যোগসাজস নেই। আমরা ধারণা করছি, এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাদেরকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ মামলায় আসামী করতে কাজ করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিরপেক্ষ অনুসন্ধান সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনাটি জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য জাতির বিবেক সাংবাদিকদের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি। এছাড়াও ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে এবং এলাকার শান্তিপ্রিয় নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করা থেকে বিরত থাকতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগি আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমি এতটাই হতদরিদ্র যে, নিজের পরিবারের খরচ চালাতে আমি স্থানীয় একটি ধান ভাঙ্গানোর মিলে দিনমজুর হিসেবে কাজ করি। এলাকার কিছু লোক তাদের প্রয়োজনে অনৈতিক কাজে আমাকে ব্যবহার করতে না পেরে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অপবাদ দিচ্ছে। ধারণা করছি, তারাই আমাকে অত্র মামলায় আসামী করতে বিজিবিকে প্ররোচিত করেছে। এ মামলার কারণে আমি গ্রেফতারের ভয়ে কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি এবং পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।’
Leave a Reply