সংবাদদাতা: কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ডুবাই প্রবাসীর অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যা এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ৪দিন পরও উদ্ধার করা যায়নি।
এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তার ভাতিজা এইচ,এম অনিকে অভিযুক্ত করে চৌদ্দগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তথ্য প্রমাণ থাকার পরও অদৃশ্য কারণে মামলা করেননি চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। কিন্তু মামলা নথিভূক্ত করে তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার এটা যে কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার।
অভিযুক্ত এইচ এম অনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমান গন্ডা সালুকিয়া গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে ও চট্টগ্রামে এপিবিএন এব কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ অহিদুর রহমানের আপন ভাতিজা। অপহরণের শিকার ভিকটিম চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় এর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
গত ১৪ এপ্রিল কুমিল্লার সদর উপজেলার মুরাদপুর এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগে জানান।
অপহরণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর মা ও পরিবারের সদস্যরা জানান, অভিযুক্ত এইচ, এম অনি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার চাচা ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তারা আরও জানান, অনি ওই স্কুল ছাত্রীকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথেও প্রায় উত্ত্যক্ত করত। অনির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে কয়েক মাস বাড়ির বাইরেও লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি, অনি ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি বিয়ের প্রস্তাব দিত। এতে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল ওই স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ওহিদুর রহমান বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমার ভাতিজা অপরাধ করলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে।
নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায় ছাত্রী অপহরণ করে ঔ রাতেই চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালের ডাঃ কুলসুমার বাসায় রাত্রি যাপন করে পরবর্তী তে চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় অবস্থান করছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান অপহরণের পর আসামি পক্ষ থেকে বারবার হুমকি ও সমঝোতার কথা বলে চাপ দিয়েন আসছেন। এবং পুলিশ প্রশাসনের সমঝোতার কথা বলে চাপ দিচ্ছেন বলে জানা যায়। ভূক্ত ভোগী পরিবার জানান এ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমানগন্ডা হাইস্কুলের একজন শিক্ষক অভিযুক্ত এইচ এম অনির বিভিন্ন সময়ে স্কুলে গিয়ে বিরক্ত করার কথা স্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমদ জানান, থানায় অভিযোগ হয়েছে। রাতের মধ্যেই মামলাটি রেকর্ড করা হবে। ভিকটিম ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।
Leave a Reply