স্টাফ রিপোর্টারঃ মানবাধিকার জোটের কুমিল্লা জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান একজন সমাজ সেবক হিসেবে এলাকায় বিশেষ পরিচিতি লাভ করছেন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়ন কনকপুর গ্রামের কৃতিসন্তান মোঃ মজিবুর রহমান এলাকায় একজন সৎ, ন্যায়, নীতিবান, উদার সমাজ সংস্কারক হিসেবে সর্বোপরিচিত। ছাত্র জীবন থেকে তিনি অসহায় সহজ সরল ও দুঃখী মানুষের পাশে থেকে মানব সেবায় অভ্যস্ত ছিলেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও সুশীল সমাজ, তরুন-নবীন, যুব-প্রবীণ সমাজে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সুনাম।
সমাজ সেবক মজিবুর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতে রেখে যাচ্ছেন বিশেষ অবদান। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি সামাজিক অবক্ষয় রোধ ও সমাজ সেবায় তৎপর রয়েছেন। এলাকায় মসজিদ, মন্দির, ধর্মীয় উপসনালয়, ওয়াজ মাহফিল, অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সেবায়, কন্যাদ্বায় গ্রস্থ পরিবার, এতিমখানা ও মিসকিনদের সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে আর্থিকভাবে তিনি সাহায্য করে থাকে। যেকোনো দূর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা ঘরে ঘরে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়াও এলাকার তরুন ছেলেদের ফুটবল, ক্রিকেট খেলায় সহযোগীতাসহ ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে তার বিশেষ অবদান। সহজ সরল, শান্ত সদা হাস্যময়, ভদ্র স্বভাব সুলভ আচরনের এ ব্যাক্তিটি ঘুণে ধরা সমাজকে উন্নয়নের পথে আনতে চায়। এলাকার সচেতন মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, চুরি, ডাকাতি, মাদক, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ইভটিজিং রোধে সব সময় তিনি সোচ্চার। সমাজ সেবক মজিবুর রহমান একজন সৎ ও ন্যায় নিষ্ঠাবান ব্যক্তি, পর অর্থ লোভী নয়। সকলের সহযোগীতা নিয়ে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহন সহ গরীব, দুস্থ্য ও অসহায়দের পাশে থেকে সব সময় সহযোগীতা করতে চান তিনি।
এলাকার বিভিন্ন সূত্র জানায়, মজিবুর রহমান মানুষের কল্যাণে একজন সদা নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে- তিনি জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত থেকে, দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষের সেবায় কাজ করে আসছেন। মুন্সীরহাট ইউনিয়নের মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রহণ করেছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ধর্ম-বর্ণের বৃত্তের বাইরে গিয়ে, নানা জনহিতকর কাজ করার মহান শিক্ষা অর্জনের মধ্যদিয়ে- নিজেকে একজন সমাজ সেবক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, মজিবুর রহমানের আর্তমানবতার সেবায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো অতি ব্যাপক ও বিস্মৃত। অসংখ্য অভাবীদের অন্ন- বস্ত্র- বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি, বেকারদের কর্মসংস্থানে নিয়েছেন কার্যকর পদক্ষেপ। এমন বাস্তব বহুপ্রমাণ মিলেছে প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে।
গতকাল এ প্রতিবেদকের মুখোমুখি হলে মজিবুর রহমান বলেন, মানুষ হলো সমাজবদ্ধ জীব। ব্যক্তি মানুষের সব সার্থকতা সমাজকে কেন্দ্র করেই। সমাজে স্বীকৃতির ওপর নির্ভর করেই মানুষের সম্পূর্ণতা। আমাদের সমাজের দিকে তাকালে প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য, যা অতি দুঃখের হলেও সত্য। আজকের আধুনিক বিশ্বের ছোঁয়া সত্ত্বেও আমরা সেকেলে সমাজব্যবস্থা হতে বেরিয়ে আসতে পারিনি। প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থার কুসংস্কার, বৈষম্য ও অবমূল্যায়ন আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। যা আমাদের জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। এই সমাজ নিয়ে আমাদেরই ভাবতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে আধুনিক সমাজ নিয়ে।
মজিবুর রহমান আরো বলেন, একটি সমাজে ধনী–গরীব নির্বিশেষে সব রকম মানুষের বাস। একটি কথা মনে রাখা ভালো, সমাজ নিয়ে ভাবনার বয়স লাগে না, প্রয়োজন চিন্তা ও মানসিকতা। শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকলে সমাজের কোনো পরিবর্তন আসবে না। ভাবতে হবে চারপাশের মানুষ নিয়ে। পরিবর্তন ছাড়া সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের সবার মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ জাগাতে হবে। সামাজিক মূল্যবোধই পারে সমাজের রূপ বদলে দিতে।
Leave a Reply