মোঃ হারুন উর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার:,নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ওপেন লাইন শাখার এস.এস.এ.ই/ওয়ে সেকশনের ইউনিট কমিটি শ্রমিক লীগ নেতাদের নিয়ে গঠন করার খবর পাওয়া গেছে। এতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলে শৈরাচার আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন হয়েছে বলে দাবী একাধিক শ্রমীক ও কর্মচারীর। তাই দ্রুত এ পকেট কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি করার দাবী তাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫/আগস্ট) সন্ধায় রেলওয়ে কারখানার পার্শে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা দেন রেল শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ওপেন লাইন শাখার সভাপতি আব্দুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন।
জানা যায়, ওপেন লাইন শাখার এস.এস.এ.ই/ওয়ে সেকশন ইউনিটে নবগঠিত শ্রমিক ও কর্মচারী দলের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক লীগের সাবেক কমিটির কার্যকরী সভাপতি আতাউল ইসলামকে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের সভাপতি, আনোয়ারুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক লীগের কার্য্যকরী সদস্য সানাউল হককে সাংগঠনিক, শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা সদস্য লিটন খাঁনকে আইন বিষয়ক সম্পাদক ও উপদেষ্টা সদস্য মমিনুর রহমান বসুনীয়াকে কার্য্যকরী সদস্য করে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় শ্রমিক লীগ নেতাদের শ্রমিক দলে অন্তর্ভুক্ত করে সরাসরি নেতৃত্ব তুলে দেওয়া এবং নতুন কমিটি ঘোষণার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী বলেন, আওয়ামীপন্থি শ্রমিক ও কর্মচারী দিয়ে শ্রমিক দলের কমিটি করা ঠিক হয়নি। এভাবে হাইব্রিডদের দলে নিয়ে আসলে প্রকৃত বিএনপি কর্মীরা হতাশ হয়ে ঘরে ঢুকে যাবে। দুঃসময়ে তাদের পাওয়া যাবে না।
রেলওয়ে ওপেন লাইন শাখার এস.এস.এ.ই/ওয়ে সেকশন ইউনিটে শ্রমিক দলে সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রমিক লীগ নেতা আতাউল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচার সরকারের আমলে চাপে পরে আমরা শ্রমিক লীগ করতাম। তবে কমিটির কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিলাম না। কাজের স্বার্থে ওই দলে যুক্ত ছিলাম।
এবিষয়ে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম বলেন, আওয়ামী লীগপন্থী শ্রমিক দিয়ে কমিটি গঠনের পর আমরা জেনেছি। এটা আমাদের অঙ্গ-সংগঠন রাজনৈতিক জেলা শ্রমিক দলের অন্তর্ভুক্ত। আমরা তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি কেন্দ্রে জানাবো। বিএনপির মূলনীতি হলো বিএনপিতে কোন আওয়ামীপন্থীর স্থান হবে না। আমরা সেই পন্থায় কাজ করবো।
Leave a Reply