মোঃ হারুন উর রশিদ/স্টাফ রিপোর্টার: ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীতীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১০ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছেন। পানিতে ডুবে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তির্ণ এলাকার রোপা আমন চারা।
বৃহস্পতিবার (১৪/ আগস্ট) সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর লালমনিরহাট ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ৩০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। যা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে। এখানে পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। গতকাল সকাল ৯টায় নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ৫২ দশমিক ২০ মিটার ওপর দিয়ে।
জানা যায়, তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দশ সহস্রাধিক পরিবার।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের ঝাড় সিংহেরস্বর ও পূর্ব ছাতনাই গ্রামের বোল্ডারেরচর, খোকারচর, খাড়াপাড়া, ফ্লাটপাড়াসহ তিস্তাপারের বিভিন্ন চরের প্রায় ১ হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছেন। গত দুই দিন ধরে ডুবে আছে স্কুল, মাদ্রাসা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি।’
টেপাখড়িবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তায় পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এতে ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রাম ও দক্ষিণ খড়িবাড়ি গ্রামের আংশিক এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে ছয় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নদীর কয়েকটি চ্যানেল বের হয়ে আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। অনেকে গোবাদি পশু নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় আরও ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আছে।
Leave a Reply