স্টাফ রিপোর্টারঃ নেত্রকোণা জেলা সদর উপজেলায় ২ টি খাদ্য গুদাম ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় রয়েছে একটি ঠাকুরাকোণা অন্যটি পৌর শহরের ভিতরে। নেত্রকোণা জেলা সদরের ঠাকুরাকোণা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদ
তার সময়কালে সরকারের বরাদ্দ প্রাপ্তি খাদ্য শস্য সংগ্রহ মৌসুমে সু-কৌশলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রের অর্থ সম্পদ আত্মসাতের মতো অভিযোগ উঠেছে। ঠাকুরাকোণা খাদ্য গুদামে বুক ব্যালেন্স মজুদের চেয়ে কয়েকশত মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ঘাটতির মতো ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায় নেত্রকোণা জেলার বৃহৎ ধারন ক্ষমতার এই খাদ্য গুদামটি সদর উপজেলার ঠাকুরাকোণায় অবস্থিত। এর ধারন ক্ষমতা ৩,০০০ মে.টন। বর্তমান ওসি, এল.এস.ডির
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বরো সংগ্রহ মৌসুমে নেত্রকোনা জেলা সদরের দুটি গুদাম রয়েছে একটি সদর অন্যটি ঠাকুরকোনা নামক স্থানে গেলো ১৫ই আগষ্ট চাল সংগ্রহ সমাপ্ত দেখনো হলেও গুদাম দু’টো তে চাউলের মজুদ নেই বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এ সময়ে সংগ্রহের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাউল ক্রয়ের বিপরীতে বিল পরিশোধ করা হলেও চাউল গুদামে উঠানো হয়নি উক্ত চাউলের চলাচল সূচি জারি করে ১৪-৮-২০২৫ ইং তারিখে এনভয়েস এর মাধ্যমে অন্য L.S.D তে ডেসপাস দেখানো হয়েছে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া সত্বেও প্রাপক কেন্দ্রে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌঁছে নাই
এতে করে বুঝা যায় যে O/C, L.S.D আঃকাইয়ুম সদর ও শামীম আহমেদ ঠাকুরাকোনা এবং D/c Food মোয়েতাছেমুর হুমায়ুন এর যোগ সাজসে চাউল সংগ্রহ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বর্তমানে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচিত হওয়ায় বিভিন্ন চ্যানেল হতে চাউল ক্রয় করে নিম্নমানের ইস্যূকৃত ইনভয়েজে প্রাপক কেন্দ্রে চাউল পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
যাহা ইতিমধ্যে একটি নৌকায় করে ১০০ মেট্রিক টন চাউল ২৮/৮/২০২৫ তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকায় পৌঁছানো হয়েছে টানা ১৫ দিন উক্ত বুঝাইকৃত নৌকা কোথায় ছিল তা রহস্যজনক চলাচল সূচী নীতিমালা অনুযায়ী কতদিনে অভ্যন্তরীণ জেলার ভিতর এক কেন্দ্র থেকে অন্য আরেক কেন্দ্রে কত দিনের মধ্যে হবে এ বিষয়ে নিয়ে কোন স্পষ্ট উল্লেখ নেই। যার প্রেক্ষিতে চলাচল সূচির মাধ্যমে ইনভয়েস ইস্যু করে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য D/c Food এর নেতৃত্বে এক মহা উৎসব চলছে।
চলাচলসূচীর বিপুল পরিমান মালামাল বিক্রয় করে কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। এ ব্যাপারে নেত্রকোণার সুশীল সমাজ খাদ্য বিভাগীয় একটি দায়িত্বশীল উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন পূর্বক তদন্ত করলে গুদামের অনেক তথ্যই বের হয়ে আসবে বলে আশা করছেন।
Leave a Reply