মোঃ রবিউল মুন্সীঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আজ দিনভর রক্তাক্ত সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছে। ভোরে শুরু হওয়া উত্তেজনা ধীরে ধীরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং দুপুরের মধ্যেই ক্যাম্পাস ও আশপাশের হাটহাজারী এলাকায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।
প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেসে প্রবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর আতঙ্কে ছেয়ে যায়।
মেডিকেল সেন্টারে একশ’র বেশি শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত প্রায় ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের অনেকেই মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়। হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন দুপুরে ১৪৪ ধারা জারি করে, যাতে একস্থানে চারজনের বেশি মানুষের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বিকেলের পর সংঘর্ষের তীব্রতা কিছুটা কমলেও পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে।
ঘটনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ও অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সংঘর্ষে জড়িতদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসনিক পর্যায়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আজকের সহিংস ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Leave a Reply