1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লামায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গণধর্ষণ : আটক ২ কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের নবনির্মিত টেবিল টেনিস একাডেমি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মজুরি বৈষম্যের প্রতিবাদে অস্থায়ী চা শ্রমিকদের সমাবেশ চৌদ্দগ্রামে ৩ পরিবারের সকলকে বেহুশ করে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট নেত্রকোণা জেলায় ত্রিরত্নের খাদ্য শষ্য লুটপাট মৌলভীবাজার ৭ যুবককে কারাদণ্ড ভ্রাম্যমাণ আদালত কুমিল্লায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২৭ মামলার আসামি অবশেষে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে স্পিডব্রেকার স্থাপনার সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে অচল ক্যাম্পাস, আহত শতাধিক শিক্ষার্থী নতুন সংবিধান রচনার দাবিতে কালীগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির উঠান বৈঠক

সময়ের কাটা ঘুর্নায়মান!

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৯ বার

আল্লাহর বিচার কিন্তু প্রহসনের বিচার নয়?

এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ: আওয়ামীলীগ তার কতিপয় নেতৃবৃন্দের কর্মফল ভোগ করছে! ষড়যন্ত্র চক্রান্তকারীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ ভোটার কর্মী নেতা পর্যন্ত নির্যাতন নিষ্পেষন নিগ্রহনের শিকার।

অনেক নিরীহ সাধারণ নাগরিক, সাধারণ ভোটার শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ভোট দেওয়ার অপরাধের খেসারত দিচ্ছে, বয়ে বেড়াচ্ছে। আজকে যাদেরকে দেখছি চোখ পাল্টি মারতে! এইতো সেদিনও তারা ছিলো সম্প্রীতির পক্ষে! মিলে মিশে থাকার চলার পক্ষে।

আজকে তারা অনলবর্ষী বজ্রকন্ঠস্বরের মালিক বনে গেছেন। সময়ের হিসেবে ও দাবীতে পৃথিবী খুবই ছোট্ট।পৃথিবীতে কোন মানুষ মারা গেলে তার শেষকৃত্য বা শেষ বিদায় দেওয়ার ব্যবস্থাটুকু থাকা সমীচীন। তদ্রূপ কোন মৃত ব্যক্তির প্রতি বিরুপ আচরন করা বা মৃত ব্যক্তির সমাধী সৌধের উপর আঘাত হানার প্রচেষ্টা রীতিমতো ক্রিমিনাল অফেন্স!

বাংলাদেশের চলমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা হলো যে, বিকৃত মানসিকতা তৈরি হয়েছে মানবতাকে বিলীন করতে। একশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ সেই বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থ করার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত থেকে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টিতে রসদ জোগাতে সদা তৎপর!

আজকের পরে কালকে আসবে, তারপর দিন পরশু…
মনে রাখতে হবে এ কথা যে, মানুষের মাঝে সম্প্রীতি সৌহার্দ্যতাপুর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে বিগত এক বছরে।
যদিও আগেও অনেক বার সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে কিন্তু এবারের মত এত গভীর দগ্ধতায় নষ্ট হয়নি কখনো!
দেশের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে অনেকটা মধুর হয়ে থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে হয়তো সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিগন।

আওয়ামী লীগের শাসনামল নিয়ে কথা বলতে গেলে ২৯ শে ডিসেম্বর ২০০৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিলো বড় অর্জন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শরীক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহন কেমন ছিলো তা অপ্রকাশিত মনে করি। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ জন সাংসদ বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শনকে করেছে প্রশ্ন বিদ্ধ!

অধিকাংশ সাংসদই সেই সময়েই স্ব-স্ব এলাকায় এক নায়কতন্ত্রের বীজ বপন করে ফেলেছিলো। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে গ্রুপিং করে কিছু কিছু সাংসদ নিজ-নিজ এলাকায় স্বঘোষিত রাজা বনে গিয়েছিলেন।
তারই চরম মুল্য চোকাতে হচ্ছে সাধারণ নিরীহ কর্মী, আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটারদেরকে।

একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নাম মাত্র গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার নামান্তর। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারনী ফোরামেও ছিলো অসহযোগিতা।
তাইতো বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে দলের বাইরে থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা ব্যক্তিরাও মনোনয়ন পেয়ে জনপ্রতিনিধি বনে গেছেন সহসাই।

অন্তর্দন্দ্ব কলহে দলের বিপর্যয় ডেকে এনেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দরাই।
জুলাই আন্দোলন, জুলাই বিপ্লবের সময় অনেক সাধারণ ত্যাগী কর্মীরা আপসোস করে বলেছে আজকে সরকারের দুর্দিনের জন্য মুষ্টিমেয় নেতৃবৃন্দ দায়ী।

যাইহোক ফিরে আসি আসল কথায়, যে মহান ব্যক্তির রাজনৈতিক দর্শনে, জীবন-যৌবন বিসর্জন দেওয়া শ্রমে ত্যাগে ও সেই মহান ব্যক্তির চার খলিফাসহ হাজার হাজার সৈনিকের বুকের অসীম সাহসে অর্জিত একটি দেশ, বাংলাদেশ যে দেশের নাম।

সেই মহান ব্যক্তির স্বপরিবারে নিহত হওয়ার দিনে তার প্রতি সাধারণ মানুষ, জনগন,নাগরিকগন শ্রদ্ধাটুকুও জানাতে পথে বের হতে পারবেনা?
সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত অনায়াসেই বাকস্বাধীনতা হরণের সামিল, বাকস্বাধীনতা হরণ বা কন্ঠ রোধ করা।

মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটি নামই নয়, একটি দেশ, একটি ইতিহাস!
মানুষকে ধমক দিয়ে স্থবির করা যায় কিন্তু মানুষের মনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
সময়ের কাটা ঘুর্নায়মান, পৃথিবী খুবই ছোট্ট, সময় দ্রুত গতিতে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, করতে পারে।

সময় স্থির নয়, স্থবির থাকেনা!
সময় হয়তো আজকে যে রেখায় চলছে কালকে বা পরশু সে রেখা পথ পরিবর্তন করতে পারে।

আজকে যে পদ্ধতি প্রয়োগ হচ্ছে, কালকে হয়তো এই পদ্ধতি যে প্রয়োগ হবে না কেউ কি তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে? আজকে যা যা হচ্ছে কালকে বা পরশু তাই ফিরে আসবে প্রকৃতির প্রতিশোধ হয়ে। হয়তো সেদিনও আবারও এভাবেই

লিখতে হবে দু’কলম বিবেকের দংশন, দায়বদ্ধতা, কর্তব্যের বেড়াজাল থেকে……!

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews