মুহাম্মাদ রবিউল মুন্সীঃ আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ, একজন বরেণ্য আলেম, জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক। লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় তার নামটি একটি আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরতার প্রতীক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছে।
তার রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত গৌরবময় ও ক্লিন ইমেজসম্পন্ন। তিনি তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং একবার সফলভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ কখনও ওঠেনি। বরং তিনি একজন সৎ, নীতিবান ও খোদাভীরু জনপ্রতিনিধি হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত।
উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, শিক্ষার প্রসার, মাদরাসা ও মসজিদভিত্তিক সমাজগঠন, স্বাস্থ্যসেবা, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, ও মানবিক সহায়তায় অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। তার কার্যকাল ছিল স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও জনকল্যাণে পরিপূর্ণ। জনগণের দুঃখ-কষ্টের সাথেই তিনি থেকেছেন, তাই তিনি জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যে মূলনীতি ও আদর্শ ধারণ করে, তার সঙ্গে খালেদ সাইফুল্লাহ হুজুরের জীবন ও কর্ম একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাকওয়া, আমানতদারি, নেতৃত্বগুণ ও দেশসেবার মানসিকতা—এই সবকিছুর বাস্তব মূর্ত প্রতীক তিনি। তার মনোনয়ন এমন একজন প্রার্থীকে তুলে ধরেছে, যিনি ধর্মীয় মূল্যবোধ, জনআস্থা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
এই মনোনয়ন শুধু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জন্য নয়, বরং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সকল ধর্মপ্রাণ, সচেতন ও অধিকারবঞ্চিত জনগণের জন্য আশার নতুন আলো। হুজুরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা অতুলনীয়, এবং ইনশাআল্লাহ, এই আসনে তাকেই বিজয়ী করে জনগণ সংসদে পাঠাবে—এই বিশ্বাস আজ অনেকের মনে সুদৃঢ় হয়েছে।
এই মনোনয়ন প্রমাণ করে, এখনো দেশে এমন নেতৃত্ব সম্ভব, যারা রাজনীতিকে খালিস ইবাদতের জায়গায় রূপান্তর করতে সক্ষম। আল্লাহ তায়ালা তার প্রার্থীতা কবুল করুন এবং দেশের সংসদে ইসলাম, ইনসাফ ও ইনসানিয়াতের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করুন—এই দোয়াই সকলের।
Leave a Reply