মীর হোসেন মোল্লাঃ মানুষের কল্যানে নিবেদিত একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য, সার্বক্ষনিক মেধা শ্রম বুদ্ধি পরামর্শ এবং সার্বিক সহায়তার মাধ্যমে, নেতাকর্মীদেরকে সৎ সাহসী ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি হিসেবে জীবন গঠনের লক্ষ্যে, সফলতার পাশাপাশি দলকে শক্তিশালী করে তুলেছেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ কামরুল হুদা। নিজের মত করে অন্যকে একজন ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ কামরুল হুদা গত প্রায় দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতাকর্মীদেরকে- সাধারন মানুষের সাথে সুন্দর আচরন- সভ্যতা ও মানবতার শিক্ষামূলক দিক নির্দেশনা দিয়ে, রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আসছেন। কখনো অন্যায় এবং অপরাধমূলক কোন কাজে নেতাকর্মীদেরকে আস্কারা কিংবা প্রশ্রয় দেয়নি। উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের আনাচে কানাছে ছাত্রদল এবং যুবদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা, দীর্ঘদিন যাবৎ থেকে কামরুল হুদার নির্দেশনাকে অনুসরণ করে, বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অসহায় মানুষকে সহায়তা করে আসছেন। চৌদ্দগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে কামরুল হুদা নজিরবিহীন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদরা ও সচেতনমহল।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের নামে একটি রাজনৈতিক দলের ব্যাপক চাঁদাবাজী, দখল বানিজ্য এবং দাঙ্গা হাঙ্গামা শিকার হয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রতিকার এবং প্রতিশোধমূলক কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায়- এর কারন খুজতে সরেজমিনে গিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।
দলীয় সূত্র জানায়, দলের পতাকার তলে থেকে কেউ যদি কোন ধরনের উশৃংখল এবং অন্যায়মূলক কাজ করে, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ রয়েছে। কামরুল হুদার নির্দেশনার এই শিক্ষাকে হাজারো কর্মী সমর্থক সম্মানের সাথে পালন করতে গিয়ে- অনেকই বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে বহুবার লাঞ্ছিত এবং অপদস্থ হয়েছে- পরিনামে প্রশাসনের সরাপন্ন হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু নিজেদের হাতে আইন তুলে নেয় নি। ফলে কামরুল হুদা প্রকৃতপক্ষে একজন রাজনীতিবিদ এবং মানবতার সেবক হিসেবে বাস্তব প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় জানিয়েছন।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, কামরুল হুদা প্রতিহিংসার রাজনৈতিক নির্মূল করে মানব সেবার একটি দৃষ্টান্তস্থাপন করতে, দলমত নির্বিশেষে গোটা চৌদ্দগ্রামকে এক কাতারে করতে চায়। অন্যদিকে, মানুষের কল্যানের জন্য মেধা ও শ্রম বিলিয়ে দেয়ার স্বভাব চরিত্র গঠনের মধ্যদিয়ে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল চৌদ্দগ্রাম বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের- আদর এবং শাসনের শিক্ষা প্রদান করে, গত ২ যুগ ধরে কামরুল হুদা নিজের মেধা শ্রম আর অর্থ ব্যয় করে দলকে সুসংগঠিত করেছেন।
এক আলাপ চারিতায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুল হুদা বলেছেন- আমি কারো মায়ের বুক খালি করার জন্য এবং কোন ভাইয়ের শরীর থেকে রক্ত ঝরানোর রাজনীতি পছন্দ করি না। চৌদ্দগ্রামের প্রত্যেকটি এলাকার উন্নয়ন এবং সর্বদলীয় জনগনের সেবা করার জন্য রাজনীতি করি। আমি মনে করি, মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে যায় তখন তারা বেপরোয়া হয়ে যায়। মানুষের বিবেক হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আদালত। সমাজ এবং এলাকা থেকে অপরাধ নির্মূল করতে হলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার কোন বিকল্প নেই। একটা সমাজে অপরাধ তখনই বেড়ে যায়, যখন অপরাধী বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যায়, তাই সমাজে কোন অন্যায় অপরাধ দেখা দিলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করা আপনার আমার বিবেকের কাজ।
আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে শান্তিপূর্ন ভোটে ক্ষমতায় গিয়ে, বিএনপি এদেশের জনগনের উন্নয়নমূলক কাজ করবে। অন্য দলের মত চাঁদাবাজী করে অবৈধ পথে টাকার পাড়ার বানাবেনা। মানুষকে হয়রানী এবং নির্যাতন করবে না। ক্ষমতার গরম দেখাবে না, আল্লাহর ভয়ে এবং ভালোবাসার জায়গা থেকে যে মানুষটা মানুষের কাছে শ্রদ্ধার উপযুক্ত, সে শ্রদ্ধা পাবে, আর যে ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য সে ভালোবাসা পাবে। যেখানে মানুয় অন্যায় অত্যাচার এবং ঝুলুম নির্যাতনে শিকার হবে, ঠিক সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিবাদী কন্ঠে বাজপাখির মত গিয়ে হাজির হবে। তবে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ।
Leave a Reply