স্টাফ রিপোর্টারঃ আনন্দ টিভি পরিচালনা পর্ষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক দূর্নীতি এবং নারী কেলেংকারীর ঘটনায় প্রশান্ত কুমার দাস কথাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কার করায়, তিনি অফিসের স্টাফদের সামনে নানা ভয়ভিতি ও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন চ্যানেলের এইচ,আর (এডমিন) মোঃ সাইফুল ইসলামকে। প্রশান্ত কুমার দাস কথার এই ঔদ্ধত্যপুর্ন আচারনে উপস্থিত সকল কর্মকর্তা, স্টাফ ও কর্মচারীরা হতবম্ব হয়ে যান। এ বিষয়ে প্রশান্ত কুমার দাস কথার ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন মিথ্যা সংবাদ থেকে রক্ষা পেতে কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ১০ মার্চ বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশান্ত দাস কথা আনন্দ টিভিতে ডেপুটি এডিটর (ডিএনই) পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি টিভির মালিক কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ বিভাগে একক ক্ষমতাধর ব্যক্তি বনেযান। শুরু হয় তার চাঁদাবাজী, সংবাদ পাঠিকাদের নিয়োগ চুড়ান্ত করার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতীক সম্পর্ক গড়ে তোলা, অযাচিত ও ভুলভ্রান্তি সংবাদ প্রচার করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত সংগঠন ইসকন সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার বেশ কিছু তথ্য প্রমান কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে। দুজন জেলা প্রতিনিধি তার বিরুদ্ধে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন এবং তারা সকল প্রমান সংগ্রহে রেখেছেন। র্যাব কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমানের অর্থ। এ সব ভুক্তভোগী সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকে আনন্দ টিভির পরিচালনা পর্ষদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এ সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ মাধ্যমে নিউজ ছাপা হয়। সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৯ মার্চ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান তৌফিক আব্বাসের কাছে অভিযোগ করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা প্রশান্ত দাস কথাকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানান। এ সময় ছাত্ররা ২ দিনের মধ্যে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য আল্টিমেটাম প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ১০ তারিখে বৈঠক করে ওইদিন তাকে তার ডিএনই পদ থেকে বরখাস্ত করে । তিনি তার নির্ধারিত অফিস কক্ষে তার মালামাল নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এইচ,আর এডমিনকে দেখে চরম ঔদ্ধত্যপুর্ন আচারন করেন, তিনি ওই প্রতিষ্ঠিনের আরো এক চাকুরীচ্যুত প্রোগ্রাম ম্যানেজরি রেজাউল হক অপুকে দিয়ে একটি ভুয়া, তথ্য ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণীত ও হেয় প্রতিপন্ন ভিডিও প্রকাশ করেন সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেই বিষয় অফিসের স্টাফের সামনে বলেন, আমি রেজাউলকে দিয়ে ফেইসবুকে দুটি ভিডিও বানিয়েছি, আরো মিথ্যা ভিত্তিহীন ভিডিও বানিয়ে হেয় করা হবে। এই বিষয় আনন্দ টিভির অফিসের স্টাফদের সাথে কথা বললে এর সততা পাওয়া যায়, তার এই আচরণের জন্য এইচ,আর এডমিন বনানী থানায় একটি সাধাররন ডায়েরীতে উল্লেখ করেছেন। জিডি সুত্রে জানাযায়, চাকুরীচ্যুত রেজাউল ও সাাবেক ডিএনই প্রশান্ত কুমার দাস কথার যোগসাজসে এইচ,আর এডমিন মোঃ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুয়া ভিডিও বানিয়ে সোস্যাল মিডিয়া অপ প্রচার করে আসছেন। ডিএনই চাকুরীচ্যুত হলেও এইচ,আর এডমিনকে শান্তিতে থাকতে দেবেনা এবং রেজাউলকে দিয়ে ভিডিও বানিয়ে আবারো সোস্যাল মিডিয়ায় সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে সংবাদ প্রচারের হুমকি দিয়েছেন। সেই সাথে তার সাথে যুদ্ধ শুরুহলো বলেও থ্রেট করেন। এ বিষয় গুলো বনানী থানায় লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। জিডি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাসেল সরোয়ার। তিনি বলেন জিডির বিষয় তদন্ত চলছে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply